গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর রস সংগ্রহে


আহসান, খোরদো প্রতিনিধি :শীত মৌসুম এর আগামনীর সুর বাজার সাথে সাথে গাছিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছের রস সংগ্রহে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরেুতেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের পেশাদার গাছিরা রস সংগ্রহের উপযোগী করে তুলছে খেজুর গাছকে। কিছুদিন পরেই এসব গাছ থেকে সকাল-বিকাল দুই বেলা রস সংগ্রহ করবেন তারা। সংগ্রহীত রস থেকে গুড় তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশা এসব গাছিদের। তবে গাছ কাটায় পদ্ধতিগত ভুলসহ গাছের পরিচর্যা না থাকায় প্রতি বছর মারা যাচ্ছে শত শত খেজুর গাছ। শীতের সকালে তাজা খেজুর রসের সুমিষ্ট স্বাদে জিবা ভেজাতে গাছের তলায় ভীড় জমানোর কথা এখন রূপকথার গল্প বলে মনে হয়। শীত মৌসুমে গ্রামীন জনপদে খেজুর রসের পিঠা ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও কালের বিবর্তনে তা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে। কিছু কিছু পার্শ্ববর্তী এলাকায় খেজুর গাছ থাকলেও সংখ্যায় অনেক কম। বছরে একবার তা থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুর গাছের সঠিক পরিচর্যা, বিগত বছর গুলোতে ইটভাটার জ¦ালানিসহ বিভিন্ন কাজে খেজুর গাছের অবাধ ব্যবহারে এখন বিলুপ্ত প্রায় খেজুর গাছ। ফলে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে।
দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নিজের জমিতে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ৩৫টি খেজুর গাছ রস সংগ্রের উপযোগী করে তুলেছেন। রস সংগ্রহের জন্য ক্রয় করেছেন মাটির হাড়ি। রস ফুটিয়ে গুড় তৈরি করার জন্য একটি নতুন ছোট তাওয়া ক্রয় করেছেন। থারনা করছেন এ থেকে প্রতিদিন ১০/১৫ কলস রস সংগ্রহ হবে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ১/২ হাজার টাকা আয় হবে।চাকলা গ্রামের লতিব জানান, নিজের এবং প্রতিবেশীদেরসহ ৩৫/৪০টি খেজুর গাছ রস সংগ্রহ করবেন। তবে আগের মত পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় রসের মূল্য বেশি। লাভ বেশি হলেও, কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, অধিকাংশ খেজুর গাছ গ্রামের রাস্তার পাশে জন্ম হয়। প্রাকৃতিক উপয়ে জন্মানো এ খেজুর গাছের রস খুবই সুস্বাধু। তবে এর কোন পরিসংখ্যান তাদেও কাছে নেই। তবে খেজুর গাছ রোপনের প্রতি লোকজনের তেমন কোন আগ্রহ না থাকায় দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *