সরোয়ার হোসেন: সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের রবিউল ইসলামের শারিরীক প্রতিবন্ধী ছেলে আল-আমিন। হতাশা আর দারিদ্রতার মাঝে থেকেও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পিতা ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের সংসারে টানা পোড়ন অবস্থা। কোনমতে ভ্যান চালিয়ে দিনের উপার্জনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খায়। মা মরা শারিরীক প্রতিবন্ধী যুবক আল-আমিন বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদরাসায় লেখাপড়া করতেন। সে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পেরেছেন। কিন্তু মা মারা যাওয়ার সংসারের টানাপোড়ন অবস্থার কারণে আর লেখাপড়া করা হয়নি প্রতিবন্ধী যুবকের। ২ ভাইয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাই আল-অমিন বড়। সৎ মায়ের সংসারে দুবেলা দুমুঠো খেতে অনেক ঝড়ঝামটা পোহাতে হয়। তাই তো লেখাপড়া বাদ দিয়ে অসহায় জীবন নিয়ে ছুটে চলেছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে নিজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতের কাজ শেখার উদ্দেশ্যে। সুদূর বকচরা থেকে কদমতলা বাজারে ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ শিখতে আসে প্রতিবন্ধী যুবক আল-আমিন। কিন্তু অর্থ সংকটে থাকায় সে নিজে তিন চাকার একটি আলগা ভ্যান তৈরি করে খুব কষ্টে চালিয়ে আসতে হয় তাকে। তারপরেও দমে যায়নি সে। সে এখন ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ করতে পারে। কিন্তু তার নিজের কোন দোকান না থাকায় অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে বেকার জীবন-যাপন করছে। প্রতিবন্ধী যুবকের ইচ্ছা একটি দোকান করে নিজে কাজ করে তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। নাই তার কোন অর্থনৈতিক সম্বল। তাই সে যদি কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগিতা পায় তাহলে প্রতিবন্ধী যুবক তার অসহায়ত্ব জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবে এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর এবং সহযোগিতা কামনা করছে প্রতিবন্ধী যুবক।
Leave a Reply