শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর আলাউদ্দিন মার্কেটে বিকাল তিনটার বুড়িগোয়ালিনী সুন্দরবন সমাজ উন্নয়ন ক্লাবের উদ্যোগে প্রস্তাবিত ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বুড়িগোয়ালিনী সুন্দরবন সমাজ উন্নয়ন ক্লাবের সভাপতি উপকুল সাংবাদিক আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে উপকুল দিবস ঘোষণার দাবী নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাস্টার তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক রঞ্জিত বর্মন, টুরিস্ট পুলিশের এ এস আই রবিউল ইসলাম, সিএসআরএল শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের পীযূষ বাউলিয়া পিন্টু , সাংবাদিক বিল্লাহ হোসেন, প্রমুখ।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বুড়িগোয়ালিনী সুন্দরবন সমাজ উন্নয়ন ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম ।
উক্ত আলোচনা সভায় ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে সে সময় নামকরণ করা হয়েছিল ভোলা সাইক্লোন। উপকূল দিবস উপলক্ষে প্রস্তাবিত দাবি সমূহ নিয়ে আলোচনা করে আলোচক বৃন্দ, দাবি ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণা করতে হবে, দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল কে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে, উপকূল রক্ষার্থে উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে, উপকুলীয় এলাকার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, উপকুলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সুপেয় পানির প্রকল্প গ্রহণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন দাবী উত্থাপন করা হয়।
স্মরণীয় ৭০- এর ১২ নভেম্বর,১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলবাসীর জন্য স্মরণীয় দিন এই দিন বাংলাদেশের উপকূল এর উপর দিয়ে বয়ে যায় সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যার নাম ছিল ভোলা সাইক্লোন, এই ঝড়ে লন্ডভন্ড করে দেয় উপকূল। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণ হানি ঘটে। এই ঘূর্ণিঝড় গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, সর্ব কালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিসাবে এ টি কে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এটির নাম ছিল ভোলা সাইক্লোন। ওই ঘূর্ণিঝড় টি ৮ই নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়।
ক্রমশ শক্তিশালী হতে হতে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে, ১১ এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছায় , ঐ রাতে উপকূলে আঘাত হানে, জলোচ্ছাসের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপ সমূহ প্লাবিত হয়, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলা। ওই সময়ে সেখানকার ১ লাখ ৬৭ হাজার মানুসের মধ্যে ৭৭ হাজার মানুষের প্রাণ হারায় ঘটনাটী ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। ৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ে মনপুরা উপকূলে সাত হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
Leave a Reply