কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কারোর একক প্রচেষ্টায় পরিবার, সমাজ, দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। এজন্য চাই সমৃদ্ধ উদ্যোগ। তাই সবাই মিলে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করে দেশকে বাঁচাতে হবে। এজন্য প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে মাদক বিরোধী কমিটি করতে হবে। মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী এরা সবাই সমাজের শত্রু এবং ঘৃনীত ব্যক্তি। এজন্য তাদের তালিকা করে সমাজের বোঝা মনে না করে তাদেরকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাকে প্রথম মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাদক বিরোধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল তার বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যেতিনি বলেন প্রত্যেক ইউনিয়নে সরকারী অর্থায়নে একটি করে পার্ক এবং খেলার মাঠ তৈরী করতে হবে। ইউনিয়ন ব্যাপী মাদক ব্যবাসয়ী মাদকাসক্তদের তালিকা করে উপজেলা মাদক বিরোধী কমিটির নিকট জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তদের ডোপ চেষ্ট করাতে হবে। এজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে মাদক নিরাময় কর্নার করতে হবে। সেখানে মাদকাসক্তদের আলাদাভাবে নিরাময় করার জন্য যা যা করার দরকার সে গুলো করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। নিজের সন্তান কোথায় যায় সে ব্যাপারে প্রত্যেক অভিভাবকের খোঁজ খবর নিতে হবে। বর্তমান স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইলে লুডু খেলে অর্থলোপাট করিতেছে। সে ব্যাপারে প্রত্যেক অভিভাবকের স্বজাগ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গ্রীন সাতক্ষীরা ক্লিন সাতক্ষীরার জন্য আমরা একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছি। তাতে করে সাতক্ষীরার অনেক ময়লা আবর্জনা সাব করে নতুন করে গাছ লাগিয়ে একটি সবুজ আবাসন তৈরীর কাজে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময় বিশ্ব তথা দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে বিষয়টি থমকে গেছে। সামনে শীত মৌসুমে আবারও করোনার ছোবল থেকে বাঁচতে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের করোনা আচারণ বিধি মেনে চলে সবাই মাস্ক পরিধান করার নির্দেশ দেন। মাদক কাউকে কখনও ক্ষমা করে নাই এবং করে না। আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার নরীম আলী মুন্সি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও থানা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আহছান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত সুধীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ আদর্শ সরকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন, দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার, মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ বিশ্বাস, মথুরেশপুর উইণয়ন পষিদের চেয়ারম্যান মিাজানুর রহমান গাইন, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি,এম, শওকত হোসেন, রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন সহ মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন সোহেল ছাড়াও সুধী, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি ও উপজেলায় কর্মরত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কালিগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি/ নিজস্ব প্রতিবেদক:বাড়ি থেকে নিজ দোকানে আসার পথে বালু ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় ইজি বাইকের আরোহি সন্তোষ শর্মা(৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীর করুন মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার শীতলপুর গ্রামে ওয়াপদার ভেঁড়ী বাঁধের উপরে এসবি ব্রিকস এর সামনে বালির গাদার উপরে। নিহত সন্তোষ শর্মা বসন্তপুর গ্রামের ডাক্তার তপন শর্মার বড় ভাই। দূর্ঘটনার পরপরই তার ভাই ডাঃ তপন শর্মার চেম্বারে নিয়ে এসেও ভাইকে বাচাতে পারেনি। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে বাড়ি থেকে ইতি বাইক যোগে নাজিমগঞ্জ বাজারে অবস্থিত শর্মা গ্লাস স্টোরে আসার পথে এস,বি ব্রিকস্ এর সামনে রাস্তার উপরে বালির গুদামের নিকট আসলে বালি ভর্তি ট্রাক পিছানোর সময় ইজি বাইক কে ধাক্কা দিলে ড্রাইভার সহ আরোহিরা পড়ে যায়। ঐ সময় গাড়ি চাপায় সন্তোষ শর্মার বুকে আঘাত লাগলে সাথে সাথে তাকে পাশে থাকা ছোট ভাই ডাঃ তপন শর্মার চেম্বারে নিয়ে গেলেও তাকে বাচানো যায়নি। গতকাল বিকাল তিনটার সময় বসন্তপুর শ্বশান ঘাটে তার শেষ সৎকারের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
Leave a Reply