1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন📰ধরা’র আয়োজনে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” বিষয়ক আলোচনা সভা📰আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬  শিক্ষককে এডহক নিয়োগ📰রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা📰মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক📰ফলোআপ নিউজ তালায় সেচপাম্পের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জীবন বিলকিস বেগমের!📰কুল্যায় ফিলিন্তিনদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ📰আনুলিয়ায় একশত পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনির খাজরা হাট বাজারের  ইজারা গ্রহিতার সাব ইজারা হস্তান্তর📰সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক

কলারোয়ায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ড সমুহের একটিরও বিচার পায়নি স্বজনরা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৫৫ সংবাদটি পড়া হয়েছে

জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সংঘটিত কয়েকটি নৃশংস হত্যাকান্ডর একটিরও বিচার আজও পায়নি নিহতের স্বজনরা। সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে একই বাড়ির ৪ খুনের ঘটনার বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২ মার্চ তারিখে কলারোয়ার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কলেজ ভেন্যুতে ৪টি তরতাজা প্রান ঝরে যায়। তদন্তে এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা হলেও পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে সে সময়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কলারোয়ার হঠাৎগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী কেড়াগাছি গ্রামের শামসুন্নাহার লিপি, যুগিখালী হাইস্কুলের শিক্ষিকা ফজিলাতুন্নেসা এবং সাবেক কলেজছাত্র হাবিবুর রহমান ও মামুনুর রশীদ। শেষোক্ত দুইজন তাদের স্বজন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে পৌছে দিতে এসেছিলেন।
পরীক্ষা চলাকালে কলেজ ক্যাম্পাসের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারির কোন নির্দেশ না থাকায় বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের কলেজ ভেন্যুতে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। এসময় হইহট্টগোলের সৃষ্টি হলে রেলিং বেয়ে ছাদে উঠে পুলিশ হুইসেল দেয়। এরই মধ্যে কে বা কারা নিচের কলাপসিবল গেট আটকে দেয়। এসময় প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে শিক্ষিকা ও পরীক্ষার্থীর ছাত্রীরা অপমানজনক অবস্থার শিকার হন। ভীড়ের চাপে ৪ জন পদদলিত হয়ে প্রান হারান। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত এ মামলা খারিজ হয়ে যায়। তার আগে পুনঃতদন্তে সিআইডি ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে আদালতে।
এদিকে ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই রাতে কলারোয়ার সোনালী ব্যাংকে দুই নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। দুই নৈশ প্রহরীরা হলেন উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও সদর উপজেলার হরিসপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান রিপন (৩২)। সে দিনের এ হত্যার ঘটনায় তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজার মনতোস সরকার বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা নং (১৮) ১৫/৭/২০১৫ দায়ের করেন। এই জোড়াখুন মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির ওপর। সেটি এখনও শেষ নামেনি।
অন্যদিকে ১৯৬৫ সালে কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামে একই পরিবারের গৃহকর্তা মোসলেম উদ্দিন, তার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে সহ ৫ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী ও মাকে গ্রেফতার করে। পরে তারা ছাড়া পেয়ে যান। এই ৫ খুনেরও বিচার হয়নি এখনও।
সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে সহ চার জনকে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কোন একসময় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মাছের ঘের ব্যবসায়ী মোঃ শাহীনুর রহমান(৪০) তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন(৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী(৯) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানা(৬)। খুনীদের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে যায় সাড়ে ৪ মাসের শিশু মারিয়া। এই হত্যা মামলায় নিহত শাহীনুরের ভাই রায়হানুলকে সিআইডি পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এখন পর্যন্ত অন্য কোন আসামী ধরা পড়েনি। এই হত্যারও বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd