নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজেদের রুটি-রুজি রক্ষার উদ্দেশ্যে পরামর্শ সভা করেছে সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খাল পাড়ের ব্যবসায়ীরা। প্রাণ সায়ের ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে শহরের প্রাণ সায়ের খাল পাড়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সমিতির সভাপতি গৌর দত্তের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজি রক্ষায় করণীয় নির্ধারণ ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে গৌর দত্ত বলেন, প্রাণ সায়ের খাল খননের মাধ্যমে সাতক্ষীরাকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা সবাই চাই আমাদের শহর পরিচ্ছন্ন হোক। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজির পথ বন্ধ করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। খাল খননের নামে অবৈধ্যভাবে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা হলে আমরা সবাই মিলে তার প্রতিবাদ করবো।
প্রাণ সায়ের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী বলেন, বিগত দুই বছর ধরে খাল পাড়ের দোকান বিভিন্ন সময়ে নানা আঙ্গিকে ভাংচুর করা হয়েছে। আমরা মনে করি খাল খনন করার জন্য যথেষ্ট ভাংচুর হয়েছে। প্রাণ সায়ের খননের জন্য খাল পড়ে যতটুকু জায়গা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি জায়গা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। এরপরে আবার যদি নতুন করে খালপাড়ের কোন দোকান ভাংচুর করা হয় তাহলে ব্যাবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে তার প্রতিবাদ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে খাল খনন ও প্রাণ সায়ের খাল পাড়ের দোকান রক্ষা দুই’ই চাই। এরপরও যদি দোকান ভাঙার কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আমরা প্রয়োজনে কাপনের কাপড় পরে বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাংচুর প্রতিহত করবে।
সাতক্ষীরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও প্রাণ সায়ের ব্যাবসায়ী সমিতির অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক একজন রতœা গর্ভা মায়ের সন্তান। তিনি অন্য মায়ের সন্তানদের রুটি-রুজির একমাত্র পথ বন্ধ করবেন না বলে আমাদের দৃঢ় বিশ^াস। খালপাড়ের সকল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানাই ৪২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এক নিমিষে ধ্বংস করে দিবেন না।
তিনি আরও বলেন, যখন আপনি সাতক্ষীরায় থাকবেন না তখনও যেন সাতক্ষীরাবাসী আপনাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেই কাজ আপনি করে যাবেন বলে আমাদের বিশ^াস।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাল পাড়ের ব্যবসায়ী বাবলু, শরিফুল ইসলাম (বাবু খান), ওলিউর রহমান, তুহিন, প্রমুখ।
Leave a Reply