নিজস্ব প্রতিবেদক: “সকলে মিলে উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে উন্নযন সংগঠন স্বদেশ কার্যালয়ে জেলা কমিটির সভাপতি বেগম মরিয়ম মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধারনাপত্র পাঠ করেন কমিটির সাধারন সম্পাদক মাধব চন্দ্র দত্ত। বিষয়ের ইপর আলোচনা করেন, উন্নয়ন কর্মি অপরেশ পাল, আবুজাফর সিদ্দিকী, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আকতার বিউটি, নারী নেত্রী ফজিলা বেগম, শিবুপদ বৈদ্য, জ্যোৎ¯œা দত্ত, জোছনা আরা বেগম, লুইস রানা গাইন, আফজাল হোসেন প্রমুখ। আলোচনায় বৈশি^ক করোনা কালিন সময়ে বিশ^ খাদ্য পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের অবস্তা, বিশেষতঃ এই সময়ে খাদ্যেও গুনমান বজায় রাখা ও পুষিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বিগত মে মাসে আম্ফানের আঘাত এবং পরবর্তীতে জুলাই মাসে উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যাঞ্চলে বন্যার ভয়াবহ প্রকোপ, যার ক্ষীণ ধারা এখনো অব্যাহত আছে। সরকারি হিসাবে, দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী এবারের বন্যায় দেশের উত্তর দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলসহ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেছেএবং অর্ধকোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী এ বন্যার কারণ পদ্মা এবং যমুনাসহ বিভিনড়ব নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের কাছে বড় আতঙ্ক তৈরি করেছে ভাঙন। নদী ভাঙ্গনের ফলে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকমানুষ মূহুর্তেই সহায় সম্বলহীন হ য় পড়েছে। ঢাকার অনেক নিচু এলাকাও এবা রর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অন্য যেকোন বছরের থেকে এবারের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। আবার ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝে মাঝে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে নদী ভাঙ্গনও অব্যাহত আছে। ১ম পর্যায় (২৫ জুন হতে ০৯ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত ১৪ জেলা) এবং ২য় পর্যায় (১১ জুলাই হতে ১৯ জুলাই, ২০২০ পর্যন্ত ১২ জেলা) মোট ২৬ জেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে।
Leave a Reply