ন্যাশনাল ডেস্ক: ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, ছায়াযুদ্ধ, সন্ত্রাস ও ঘৃণা-বিদ্বেষে জর্জরিত বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করতে হলে মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শনের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে আলোকিত করতে হবে।’
শুক্রবার (২ অক্টোবর) মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন শাহরিয়ার কবির। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী ও গান্ধীবাদী নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার শত্রুরা ভারত ও বাংলাদেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। ধর্মনিরপেক্ষ মানবতা, শান্তিও সম্প্রীতির চেতনা ব্যক্তি ও সমাজ জীবন থেকে আরম্ভ করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে।’
ওয়েবিনারের ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু দুজনেই শান্তির ধারণাকে অহিংসা, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সম্প্রীতি, পরিবেশ ও উন্নয়নের বৃহত্তর পরিসরে স্থাপন করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও প্রকৃতির ভারসাম্য থেকে শান্তিকে আলাদা করে দেখেননি।’
বৃটিশ গান্ধীবাদী সমাজকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘এ প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি অবলোকন করলে গান্ধীর প্রতিক্রিয়া কী হতো। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি বর্তমানে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক অশান্তি, ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ প্রভৃতি গান্ধীকে অত্যন্ত বিচলিত করতো।’
Leave a Reply