ঢাকুরিয়া, মনিরামপুর সংবাদ দাতা : মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সুফিয়া বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা সুচিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মণিরামপুর হাসপাতালে।
অভিযোগ করা হয়েছে, হাসপাতালের টিএইচএ শুভ্রা রানী দেবনাথ অ্যাম্বুলেন্স চালককে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ায় মুমুর্ষু অবস্থায় সুফিয়া বেগমকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করতে পারেননি জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। ফলে হাসপাতালের বারান্দায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার।
সুফিয়া বেগম উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মোড়লের স্ত্রী। সকালে তিনি মোহনপুর এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তা পার হতে গিয়ে বেলা সাড়ে দশটার দিকে তিনি ইজিবাইকের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন। সাথে স্বজনরা কেউ না থাকায় পৌনে ১১ টার দিকে দু’জন পথচারী তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যান।
মৃত সুফিয়া বেগমের মেয়ে আনোয়ারা খাতুন জানান, এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মাইক্রো ভাড়া করে যশোর যাওয়ার পথে মণিরামপুর বাজারের মধ্যে আমার মায়ের মৃত্য হয়।
স্থানীয় কামালপুর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর বাবুল আক্তার বলেন, ওই বৃদ্ধার মাথা দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর থেকে তিনি অজ্ঞান ছিলেন। বৃদ্ধার সাথে কেউ ছিল না। দ্রুত তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠাতে হতো। কিন্তু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালককে নিয়ে টিএইচএ কোথায় যেন ঘুরতে গেছে। সেজন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। দেড়-দুই ঘন্টা ধরে বৃদ্ধা মুমুর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে ছিল। ডাক্তাররাও ভাল চিকিৎসা দিইনি।
মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমন নাগ বলেন,‘বৃদ্ধার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মাথায় গুরুত্বর আঘাত পাওয়ায় বারবার বমি হচ্ছিল। পরে মাথা দিয়ে কিছুটা রক্ত ক্ষরণ হয়। তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করার দরকার ছিল। অ্যাম্বুলেন্সের চালক বা বৃদ্ধার স্বজনরা কেউ না থাকায় তাকে রেফার করা সম্ভব হয়নি।’
মণিরামপুর হাসপাতালের টিএইচএ শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন,‘অ্যাম্বুলেন্সের চালককে নিয়ে ফিল্ডে গিয়েছিলাম। তাই হাসপাতালে একটু সমস্যা হয়েছে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত ফিরে এসেছি। তারমধ্যে রোগীর স্বজনরা প্রাইভেট কার ভাড়া করে তাকে যশোরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পথে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’
Leave a Reply