ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলন : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ইন্টার্ণি কক্ষে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক কাঙ্কিতা মন্ডল তৃনা।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ৬ বছরেও জরুরী বিভাগ চালু হয়নি। সর্ব প্রথম ২০১৪ সাল থেকে জরুরী বিভাগ চালুর দাবীতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও রক্ত দিয়ে কর্মসুচি পালন শুরু হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরী বিভাগ চালুর দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বিভিন্ন সময় জরুরী বিভাগ চালুর আশ^াস দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২৪ সেপ্টেম্বর জরুরী বিভাগ চালুর দাবীতে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে সাথে দফায় আলোচনায় বসেও জরুরী বিভাগ চালুর নিমিত্তে কোন আশানুরুপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে তারা কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, মেডিকেল তত্বাবধায়ক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৭ দিনের মধ্যে জরুরী বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ অক্টোবর জরুরী বিভাগ উদ্বোধনের তারিখও ঘোষনা করা হয়। বিন্তু আদৌ তা বাস্তবায়ন হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো জানানো হয়, যতদিন পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগ চালু না হবে ততদিন পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জরুরী বিভাগ চালু না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসুচি পালন করা হবে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এ সময় যাতে দ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগ চালু হয় সে জন্য প্রধান মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম মেহেদী, তানজিলা খাতুন, নয়ন চন্দ্র হালদারসহ ৩৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *