নিজস্ব প্রতিবেদক: সুজনশাহা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগে অর্থ লেনদেন নিয়ে তোলপাড় চলছে। আট প্রার্থীর কে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে তা নিয়ে চলছে হিসেব নিকেশ। ঘটনাটি নিয়ে সুজনশাহা বাজারের চায়ের দোকানে ঝড় তুলছেন কেউ কেউ।
সম্প্রতি তালা উপজেলা সুজনশাহা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয় ১১ই মার্চ ২০২০ তারিখে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে নিয়োগ লাভের জন্য ৮ জন আবেদন করে। তবে আয়া পদে নিয়োগের জন্য প্রায় প্রত্যেকের কাছ থেকেই কিছু না কিছু অর্থ আদায় করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এমনই অভিযোগ অনেকের। বিষয়টি এখন সুজনশাহা বাজারের চায়ের দোকানের হট টপিক। এটি নিয়েই চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন কেউ কেউ। অনেকেই বলছেন নিয়োগের জন্য সুজনশাহার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী আসমাই নিয়োগ পাবে। কারন তিনি নাকি ৮ লাখ টাকা খরচ করেছেন। আবার অনেকে বলছেন রবিউল ইসলামের স্ত্রী তাছলিমা (সুমি) পাবে নিয়োগ। সেও ৫ লাখের মত খরচ করেছে। এছাড়াও প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিচিতদের নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টাও চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও খরচ করেছেন তারা।
একটি সুত্রের বরাতে জানা যায়, আসমা ও সুমির নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার গোপনে শালিসি বৈঠকও হয়েছে। শালিসের বিষয়বস্তু ছিল আসমা নাকি তাছলিমা কাকে নিয়োগ দেয়া হবে তা নিয়ে। তবে আসমা ৫ লাখ টাকা দিলেও আরও ৩ লাখ টাকা নিয়োগ প্রাপ্তির পর দেয়া হবে বলে সুত্রে জানা গেছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সারাদিনই বিক্ষিপ্তভাবে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে মিসাংসারও চেষ্টা করা হয়।
Leave a Reply