আশাশুনি,সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বুধহাটা বাজার অবহেলা ও অব্যাবস্থাপনা,চুরির কারণে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। সাথে সাথে বাজারের মধ্যে ক্রমশ অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দীর্ঘদিন বাজারে পুর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় দিনে দিনে অগ্রগতি ও উন্নয়ন কমে যাচ্ছে। বাজারটিতে পাহারাদার না থাকায় অহরহ চুরি সংগঠিত হচ্ছে। প্রশাসন চোর ধরা বা মালাামল উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পারছেনা। বাণিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজারে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হলেও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা। ব্যবসায়ীদের অব্যবস্থাপনা ও অনীহার কারনে রাস্তায় পলিথিন টানানোর কারনে সিসি ক্যামেরা কার্যকর হচ্ছেনা। বাজারটিতে ব্যাংক, এনজিও, ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ হাজার হাজার ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা আছে। রাত হলে সৃষ্টি কর্তার উপর ভরসা রেখে তালা বন্ধ করে বাড়ি যেতে হয় দোকানীদের। বাজার কমিটির উদ্যোগের অভাবে সাধ্য থাকলেও অদ্যবদি রাতে পাহারাদার টহল ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে বাজারের দোকানে এবং বাজারের আশ পাশের বাড়ীতে চুরির মত ঘটনা ঘটেই চলেছে অহরহ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা রাতে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। রাতের যে কোন সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা বাজারের প্রাচীন এ্যলোমনিয়ামের দোকান আলহাজ্ব আঃ সালামের ভাই ভাই এলোমনিয়াম ষ্টোরের টিনের চাল কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ টাকাসহ অনুমনা ১০ সহ¯্রাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া বৃহৎ চাউলের পাইকারী ব্যবসায়ী বিল্ব মঙ্গল দেবনাথে চালের দোকানের চাল কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ টাকাসহ অনুমান ২০ সহ¯্রাধিক টাকার মালামাল, নজরুল ইসলামের কাপড়ে দোকানের চাল কেটে অনুমান ২০/২৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এবং তাপস মন্ডলের বিবেকানন্দ বস্ত্রালয়ের টিনের চাল কেটে সিলিং থাকায় ভিতরে ঢুকতে না পেরে ফিরে যায়। এব্যাপারে বাজারের কয়েকজন দোকানী এ প্রতিবেদককে বলেন, কয়েক বছর আগে বাজারের দোকানীদের উদ্যোগে রাতে বাজারে পাহারাদারের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। কিন্তু পাহারাদার থাকার পরও দোকান ঘরের পিছন থেকে এবং ছাউনী কেটে চোরের দল দোকানের মালামাল চুরি করায় পাহারাদার টহল বন্দ করে দেওয়া হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেকের উদ্যোগে বাজারের অলিতে গলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও রক্ষনাবেক্ষনের অভাব ও ব্যবসায়ীদের অনীহার কারনে সে গুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বর্তমানে থেমে নেই চুরি, নেই পাহারাদার, থাকতেও নেই সিসি ক্যামেরা। অন্যদিকে বাজার উন্নয়নে কোন অগ্রগতি বা তদারকি না থাকায় বাজারের মধ্যে খাস সম্পত্তিতে যে যার মত নির্মান করছে পাকা দোকান ঘর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে নোটিশ করলেও থেমে নেই অবৈধ দখল। এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চুরি সংগঠিত হওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তাদের চুরি যাওয়া মালামালের হয়নি উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা। চুরির ঘটনা ঠেকাতে রাতে বাজারের মধ্যে পুলিশি টহল জোরদার, পাহারাদার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পূণরায় সিসি ক্যামেরার কার্যকরিতার জোর দাবী জানিয়েছেন বাজারের সকল দোকানী ও এলাকার সচেতন মহল।
Leave a Reply