সংবাদ দাতা : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেশাগ্রস্ত দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নারী চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যার পরে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, শহরের বাঁকাল এলাকার মৃত সঞ্জয় মোড়লের ছেলে দীপ (২৬) ইনজুরি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। ঐ সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ডাঃ শারমিন ফিরোজ দায়িত্বে ছিলেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ সঠিকভাবে রোগী দেখেন। রোগীর খিচুনী থাকার জন্য এবং নিজে নিজের মাথায় আঘাত করেছেন জানতে পেরে তিনি রোগীকে ভর্তি ব্যবস্থা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ রোগীর অবস্থা জটিল এবং নেশাগ্রস্ত থাকার জন্য রোগীর লোকজনকে ডেকে বুঝিয়ে বলেন। তার মাথায় সিটি স্ক্যান করা লাগবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্রে রেফার্ডও করা লাগতে পারে। এসব কথা শোনার পরে রোগীর সাথে থাকা বাঁকাল এলাকার সৈয়দ রাফিনুর আলীর ছেলে সাইদুল জামান সাগর ও একই এলাকার মোজাফ্ফর হোসেনের গোলাম মোস্তফাসহ রোগীর সাথে থাকা লোকজন ডাক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত একজন স্টাফ এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে।
তারপর তারা ডাক্তারকে মারতে আসে। ডাঃ শারমিন ভিতরের রুমে গিয়ে কোন মতে নিজেকে রক্ষা করে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর লোকজন হিং¯্র হয়ে মহিলা ডাক্তারকে যা ইচ্ছে তাই বলে গালি দেয় এবং হুমকি দেয় যেখানে পাবে সেখানেই ডাক্তার শারমিন ফিরোজ কে মারবে।
এব্যাপারে, তাৎক্ষণিক ফোনে সাতক্ষীরা সিজিল সার্জন কে জানানো হয়। ঘটনা শোনার পরে সিভিল সার্জন সদর থানা পুলিশকে অবহত করলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং সিভিল সার্জনসহ মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি, সিজিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার উপস্থিত হন এবং তাদের কে জরুরী বিভাগেই আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ তাদের সদর হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ডাঃ শারমিন ফিরোজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কারনে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
Leave a Reply