1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
৩ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts

মকবুলের বসত বাড়ি এখন বিরান ভূমি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১১৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে


সংবাদদাতা প্রেরিত: শহরের রাধানগরস্থ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মকবুল হোসেনের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। বসত ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে বিরান ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। অথচ ঘটনার মামলা নিতে অনিহা পুলিশের। মিমাংসার মাধ্যমে বাস্তচ্যুৎ করার পায়তারা পুলিশের বলে অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের। আরো অভিযোগ গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ ঘণ্টাব্যাপি এ ভাঙচুর চালালেও নিরাপত্তাহীন পরিবারের পক্ষে বারবার ফোন করেও পুলিশের দেখা মেলেনি এলাকায়।
ভুক্তভোগি মকবুল হোসেন জানান, তার বাবার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে রাধানগরের কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে আড়াই শতক জমি বিক্রির জন্য ১৯৯১ সালে চুক্তিবদ্ধ হন সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের মীরাজ আলী। জমির মালিকের কথামত তারা ওই জমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। মীরাজ আলী ১৯৯৮ সালে মারা যাওয়ার আগে ওই জমি লিখে দিয়ে যতে পারেননি। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি বলে যাওয়ায় তার ছেলেরা ওই জমি থেকে কখনো তাদের চলে যেতেও বলেননি।
মকবুল হোসেন বলেন, অথচ মে মাস থেকে তার পরিবারকে ভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ইতোপূর্বেও কয়েকবার হামলা ও ভাঙ্গচুর করা হলেও সদও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন সহযোগিতা পাওয় যায়নি। যদি থানা কতৃপক্ষ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতো তাহলে আজ আমার পরিবাকে নিয়ে ত্রেপল টানিয়ে এই বষা মৌসুমে উম্মুক্ত স্থানে থাকতে হতো না।
সবশেষ গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ ঘণ্টাব্যাপি সন্ত্রাসী বাহিনী বাবার হাতে গড়া ৩০ বছরের আশ্রয়টুকু ভেঙে জায়গা জবরদখলের জন্য চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসী আব্দুস সালাম, তার নৈশপ্রহরী জামাতা সাইফুল ওরফে জেরো সাইফুল, আব্দুস সবুর, মুন্নাসহ কয়েকজন। ভোর রাতে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা শাবল, হাতুড়ি, গাইতি ও কোদাল দিয়ে বাড়ির দেয়াল ও ১৩টি ক্লোবসিগ্যাল গেট ভেঙে ফেলেন। তারা জোরপূর্বক ঘরের মধ্যে ঢুকে শোকেসে রাখা নগদ টাকা, সোনার গহনা, মূল্যবান কাগজপত্র মোবাইল সেটসহ ব্যবহার্য জিনিপত্র লুট কওে নেয়। ভাঙচুর করে আলমারি, শোফা সেট, সিলিং ফ্যান, গ্যাস ওভেন, চালের ড্রাম, টিনের চাল, ইলেকট্রিক মিটার, প্রেসার কুকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। পাঁচটি ক্লোবসিগ্যাল গেট, চারটি দরজা, চারটি গ্রীল ভ্যানে করে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে একটি দোকানে নিয়ে যায় । ব্যবহৃত জিনিসপত্র জমির সীমানার বাইরে প্রাণসায়ের খালের পাশে ফেলে দেওয়া হয়। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। অথচ সকাল থেকে থানায় বার বার ফোন করা হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ৯টার দিকে। এ সময় উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলামের সামনে তার স্ত্রী, মেয়ে, শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাকেও বিবস্ত্র করে পেটানো হয়। স্ত্রীকে ভর্তি হরা হয় সদর হাসপাতালে।
রাত সাড়ে ১০টায় তার স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদি হয়ে থানায় এজাহার দিলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বৃহষ্পপতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও রাত ৮টা পর্যন্ত ঘটনাসন্থলে আসেননি। এমনকি কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১১টার দিকে সাংবাদিক, ভূমিহীন নেতা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ¡ ছুটে এসে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাজাসদ নেতা প্রভাষক ইদ্রিস আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির সদর শাখার সভাপতি স্বপন কুমার শীল, জেএসডির কেন্দ্রিয় নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপাতি কাজী আক্তার হোসেন সহ রঘুনাথ খাঁ, শহীদুল ইসলাম, মুনসুর আলী, ভূমিহীন নেতা কওছার আলী ও আব্দুস সামাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের উর্দ্ধে যেয়ে যারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে মকবুল হোসেন ও তার পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ভাঙচুর, লুটপাট শেষে বাড়ি ঘর ভেঙে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। রাধানগর সদর থানা থেকে ঢিঁল ছোঁড়া দূরত্বে হলেও ভাঙচুরের ঘটনা শুরুর তিন ঘণ্টা পর পুলিশ আসা ও পুলিশের উপস্থিতিতে নারীদের মারপিট করার সমালোচনা করেন তারা।
অভিযোগে প্রকাশ চলতি বছরের মে মাস থেকে মকবুলের পরিবারকে উচ্ছেদেও ছক শুরু কওে একটি মহল।গত ১৪ মে মকবুল হোসেনএর বসত বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় প্রথম সালাম ও সাইফুলের নেতৃত্বে এক দফা হামলা হয়। সে ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। গত ৫ জুন সকালে দ্বিতীয় দফায় মকবুলের বাড়ি ভাঙচুর করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী এ গ্রুপ। আবারো থানাতে অভিযোগ করা হলে উক্ত নিগত রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ি ৮ জুন রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের বাড়িতে বসাবসির সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু পরদিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দেও সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পরদিন ৬ জুন শুক্রবার সকালে একই চিহ্নিত সন্ত্রাসী সালাম, সাইফুল, সবুর, মুন্নাসহ ৩০/৩৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মকবুলের বাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে মকবুলের পক্ষ হতে প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই মকবুলের পক্ষ হতে ৬ জুন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও থানা এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনা। বার বার থানা মামলা গ্রহণ না করায় সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষরা উচ্ছেদ করার জন্য নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজামান বলেন, খবর পেয়ে উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেনের স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদি হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। প্রতিপক্ষরাও একটি অভিযোগ দিয়েছে। তাই উভয়পক্ষকে মীমাংসা করে নেবেন বলে শুনেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd