মশাল ডেস্ক: নাজমা আক্তার। যুব মহিলা লীগ সভাপতি। ১৯ বছর ধরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি তার মা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যুব মহিলা লীগ সহানুভূতি জানিয়ে স্বজন হারানো নাজমা আক্তারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, তার মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তাও জানায়নি! এ নিয়ে শোকাহত নাজমা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেঘগন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার যে চিত্র তা তুলে ধরেছেন। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তলে ধরা হলো:
এটা কি বিবেকহীনতা, অমানবিকতা, শত্রুতা, হিংস্রতা, নাকি জঘন্য অপরাধবোধ থেকে সৌজন্যবোধটাকে হারিয়ে ফেলা ? প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৯টি বছরই কাটালাম যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে। সম্প্রতি আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রেস রিলিজ দিয়ে শোক বার্তা পাঠাবে, এটিই বোধ হয় রাজনৈতিক শিষ্টাচার। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সেটি তো করলোই না, ফেসবুকে দু:খ প্রকাশ করেও কোন স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। এমনকি গত ৭ দিনে তার কাছ থেকে সহানুভূতির কোনো ফোনও পেলাম না। তাহলে কি আমার মায়ের মৃত্যুর প্রেস রিলিজ আমাকেই দিতে হতো?
কার সাথে এতোটি বছর রাজনীতি করলাম? কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় আমার মায়ের মৃত্যুতে শোক ও দু:খ প্রকাশ করে জনাব ওবায়দুল কাদেরের নামের সাথে অপু উকিলের নামটিও এসেছে। সেটি যুব মহিলা লীগের কোন প্রেস রিলিজ ছিল না, কোন এক সাংবাদিক ভাই তার নাম নিজের ইচ্ছাতেই জুড়ে দিয়েছেন। এইভাবেই কি মনুষ্যত্বহীন নিষ্ঠুর রাজনীতিকে সঙ্গী করে আমাদেরকে চলতে হবে?
সুত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Leave a Reply