নিজস্ব প্রতিনিধি : চায়ের দোকানে ছাত্রলীগ নেতাদের খাওয়ার বিল পরিশোধ করা নিয়ে দ্ধন্দের জেরে মুজাহিদুর রহমান অন্তু নামের এক যুবলীগ নেতার হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে নিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন ওই যুবলীগ নেতার বাবা। আহত যুবলীগ নেতা মুজাহিদুর রহমান অন্তু সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইটাগাছা এলাকার আবুল হাসানের ছেলে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত.গিয়াজউদ্দীনের ছেলে ও ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ হোসেন, একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন এবং শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার বাবু তালুকদারের ছেলে সোহেল রানা।
আহত যুবলীগ নেতা অন্তুর বাবা আবুল হাসান জানান, গত ১৬ সেপ্টম্বর সকালে শহরের বাকাঁল এলাকায় রোজ মার্কেটে এক চায়ের দোকানের বিল পরিশোধের জন্য আমার ছেলে মুজাহিদুর রহমান অন্তুর কাছ থেকে ২০ টাকা দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ হোসেন, জাহিদ হোসেন ও সোহেল রানা। তাদের দাবিকৃত ২০টাকা দেওয়ার পরও তাদের সঙ্গে আমার ছেলের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন দুপুরে অন্তু প্রয়োজনীয় কাজে শহরের উদ্দেশ্য রওনা দিলে রাস্তার উপর ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ, জাহিদ, রানাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন অন্তুর পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তিনি আরও বলেন, তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তুর বাম হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে চামড়ার সাথে ঝুলে থাকে। এ সময় তার আতœচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরত্বর আহত অবস্থায় অন্তুকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, যুবলীগ নেতার বাম হাতের আঙুল কেঁটে নেওয়ার ঘটনায় আহতের বাবা আবুল হাসান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনজন এজহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
Leave a Reply