পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। পাইকগাছার চকরি বকরি জলমহলের দক্ষিণ পাশ ভেঙ্গে আবারও তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের পর এ এলাকাটি তিনবার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। শুক্রবার জোয়ারে ফুসে উঠা পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়। যাতে দেলুটি ইউপির পারমধুখালী, চকরিবকরি ও গেওয়াবুনিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়ে কাঁচা ঘর বাড়ী, ফসলের ক্ষেত, পুকুর ও চিংড়ি ঘেরে ভেসে যেয়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শতাধিক পরিবার জলবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
গত আম্পানের পর এনিয়ে তিনবার ভাঙ্গনের কবলে পড়লো এলাকাটি। অমাবশ্যার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকগাছার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে ভাঙ্গনের পাশাপাশি ওয়াপদা ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত বুধবার থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার সকালে গড়ইখালীর গুচ্ছগ্রাম, বুধ ও বৃহস্পতিবার সোলাদানার বেতবুনিয়া গুচ্ছগ্রামসহ তিনটি এলাকা, গদাইপুর ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকা ও লতা ইউনিয়নের একটি এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়ভাবে বাঁধ মেরামত করলেও টেকসই বাঁধের দাবী জানিয়েছেন সোলাদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, দেলুটি চেয়ারম্যানরা রিপন কুমার মন্ডল ও গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী সরেজমিনে যেয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কার ও মানুষের জানমাল রক্ষার্থে প্রশাসনের সব ধরণের প্রচেষ্টা আছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply