সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ৩ আগস্ট সকাল দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কবি পল্টু বাসারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মুক্তি মতিয়া খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাইফুল করিম সাবু ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।
প্র্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বজুড়ে বাঙালির ঐক্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করাই বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের লক্ষ্য। বিশ্বে সকল বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, গান, আবৃত্তি, নাট্যচর্চাসহ সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসাই এর মূল কাজ।
বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ভারতের সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান পরিচালক আশিস কুমার সরকার এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। বক্তারা বলেন পর্যায়ক্রমে সারাবিশ্বে, জেলা, উপজেলাতেও এর কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর এই প্রথম জেলা কমিটি হলো সাতক্ষীরাতে। এজন্য সাতক্ষীরার সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি ছাইফুল করিম সাবু বলেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমাদের সাতক্ষীরা। এ অঞ্চলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ অগ্রণি ভুমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন বলেন, সাতক্ষীরায় অনেক গুনী শিল্পী আছেন যাঁরা এই বিশ্বে মাথা উঁচু করেছেন আমাদেরএই সাতক্ষীরাকে। পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মঞ্জুরুল হক, কামরুল ইসলাম, চৈতালী মুখার্জী, আক্তারুজ্জামান কাজল, সেঁওতি, শামিমা পারভিন রতœা, জ্যামি হক, শামিম পারভেজ, নাহিদা পারভিন পান্না, জান্নাতুল প্রেমা, মাহবুব, বিশ্বজিত, আশিষ, লিটন, ঝিলিক, ঝরাসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগন। সবশেষে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা ঘোষনা করা হয়।
পল্টু বাসারকে সভাপতি, শামিমা পারভিন রতœাকে সাধারণ সম্পাদক, শামিম পারভেজকে সাংগঠনিক সম্পাদক, জান্নাতুল প্রেমাকে অর্থ সম্পাদক ও নাহিদা পারভিন পান্নাকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখা কমিটি গঠন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কমিটির নব নির্বাচিত সহ সভাপতি কাজী মাসুদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক শামিমা পারভিন রতœা।
Leave a Reply