আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে আবারো সংর্ঘের ঘটনায় থানার দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে থানার গাড়ি। এঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুরে খাজরা ইউপি চেয়রম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও সাবেক চেয়রম্যান রুহুল কুদ্দুস সমর্থক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আশাশুনি থানা সুত্রে প্রকাশ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থক গ্রুপের কয়েকজন গদাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষের সমর্থকরা ঐ দোকানে উপস্থিত হলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ওয়ায়েছ কুরনী, তুহিন, রফিকুল ইসলামসহ দু’পক্ষের কমপক্ষে ৮জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা হঠাৎ পুলিশের উপর বিনা উস্কানিতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এসআই জাহাঙ্গীর ও ওসির ড্রাইভার শরিফুল ইসলাম আহত হয়। পরে আহত ২ পুলিশ সদস্যকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি গাড়ি ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গদাইপুর গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র গোলাম কিবরিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের গোলাম রব্বানীর পুত্র মফিজুল ইসলাম (৩৮) কে আটক করা হয়। সংর্ঘের পর বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ সদস্যের উপর হামলা ও পুলিশের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় আহত এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে ২৫ জন ও অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামী করে থানায় ১০(১৪)২০২০ নম্বর মামলা দায়ের করেছেন বলে থানাসূত্রে জানাগেছে।
উল্লেখ্য, খাজরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ আপন মামাতো ফুফাতো ভাই।
Leave a Reply