দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহটার মৎস্য ঘর গুলোতে চলছে বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশের রমরমা ব্যবসা। পারুলিয়ার মৎস্য ঘরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা। এক ব্যবসায়ীর ৩০ হাজার টাকা জরিমানা। বাগদা চিংড়ী অপদ্রব্য পুশের কারনে ৫ ক্যারেট মাছ মাটিতে পুতে বিনষ্ট। জানাযায়, সাতক্ষীরা জেলার সাদা সোনা নামে পরিচিত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানী করে বাংলাদেশ অর্জন করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। কিন্তু কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর পুশের কারনে বাংলাদেশের এই সাদা সোনা নামে ক্ষাত চিংড়ী ব্যবসায় নামে ধ্বস। সরকার হারায় মোটা অংকের রাজস্ব।। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধীক মুনাফার আশায় সাদা সোনা নামে পরিচিত বাগদা চিংড়িতে পুশ করছে অপদ্রব্য জেলি, সাবু, চিড়ির কদ ও ফিটকার পানি। যেখানে করোনার কারনে বিদেশে মাছ যাওয়া বন্ধ। সেখানে দেশের ভিতরে কম দামে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এ মাছ। এ পুশের কারনে মাছে সৃষ্টি হয় জীবানু। এসব জীবানুতে হুমকিতে বাংলাদেশের মানূষের স্বাস্থ ব্যবস্থা। যে টা এক দিকে মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর অপর দিকে বিশ্ব বাজারে মূল্য হ্রাস। যে কারনে দক্ষিণ বঙ্গের মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা আজ পথে বসতে চলেছে। গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকাল ১০টায় পারুলিয়া ব্রীজের নিচে মেসার্স রিচি ফিস ্এর শর্তাধীকারী আবু সাঈদের মৎস্য ঘরে সরেজমিনে প্রবেশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান। এসময় দুই জন অর্ধ-বয়সী মহিলা কর্মী দিয়ে বাগদা চিংড়ির গায়ে জেলী পুশ করা দেখতে পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তখন সেখান থেকে ৫ ক্যারেট মাছ জব্দ করেন তিনি। পরে মেসার্স রিচি ফিস ্এর শর্তাধীকারী আবু সাঈদকে অপরাধের জন্য ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য এ সকল দূর্নিতি বাজ ব্যবসায়ীদের বাচানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে একটি সুত্রে জানাযায়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে এ সময় জানান,পুশ এখন সাতক্ষীরা জেলার প্রায় প্রতিটি মৎস্য ঘরে হচ্ছে। তাই জেলা ব্যাপী এ অভিযান না চললে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে তারা জানায়।এ পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সহ ইউপি সদস্য ইয়ামিন মোড়লসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply