গত জুন মাসে দেশে ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশুর ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১০১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, গত জুন মাসে মোট ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ১০১ জন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৯ জন আর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৫ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে।
এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬ জন। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন, এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪টি। পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় একজনকে। বিভিন্ন কারণে ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে।
গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে এবং ১ জন গৃহপরিচারিকা আত্মহত্যা করেছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ৭ জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ জন। উত্ত্যক্ত করা হয় ৫ জনকে। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
ফতোয়ার শিকার হয়েছে ১ জন। বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ১ জন। এছাড়া অন্যাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন নারী ও শিশু।
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালেও যৌন হয়রানি, নারীর প্রতি সহিংসতা, কিশোরী ও শিশুদের ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা গভীর উদ্বেগের। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে তিনি বলেন, বিচারহীনতায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। এসব বন্ধে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেন তিনি।
Leave a Reply