আশেক-ই-এলাহী : শৃজনশীল ও ব্যতিক্রমী এলাকা উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন জন্য একটি শক্তিশালী বোর্ড, অধিদপ্তর বা মন্ত্রানালয় গঠনের দাবী জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ঠ এলাকার সুধী মহলের পক্ষ থেকে। সংশ্লিষ্ঠদের মতামত যে, দেশের অন্যান্য বিশেষ এলাকা যেমন হ্ওাড়, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একক কতৃপক্ষ আছে। তেমনি একটি একক কতৃপক্ষ উপকূলের জন্য দরকার।
বাংলাদেশের উপকূল বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল প্রাকৃতিক ভাবে দেশের অন্য এলাকা থেকে পৃথক। নোনা পানি ও জোয়ার ভাটার কারনে এ এলাকার একটি শৃজনশীল ও পৃথক বৈশিষ্ঠ তৈরী হয়েছে। দুর্যোগ প্রবন এ এলাকা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ঝুকিপূর্ণ। পূর্বে দশ বছরের মধ্যে একবার যে দুর্যোগের মুখোমুখি হতো উপকূল বাসী বর্তমানে তা প্রায় বাৎসরিকে পরিনত হয়েছে। এমনকি কোন কোন সময় এক বা একাধিক দূর্যোগ এক বছওর দেখা গেছে। বড় দূর্যোগের বাইরে অতিরিক্ত জোয়ারের চাপও মানুষের জীবন ও জীবিকাকে ঝৃঁকিময় করে তোলে। প্রাকৃতিক এ দূর্যোগের ফলে এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকা, সম্পদ বার বার ধ্বংশের মুখোমুখি হয়। পরিনতিতে এলাকা দেশের অন্য এলাকাতে দারিদ্রতার হাওর পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষার হারও কম। কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ায় এবং সম্পদ ও আবাসিক এলাকা নিরাপত্তা কম হওয়ার কারনে মানুষের এলাকা ত্যাগের প্রবনতা অত্যাধিক। কর্মক্ষম মানুষের এলাকা ত্যাগের ফলে পরিবারের নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধিদের জীবন খুব দূর্বিসহ হয়ে পড়ে।
উপকূল অঞ্চল দিয়ে গড়ে উঠেছে পৃথিবীখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। সুন্দবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষন তথা এলাকার ইকোলজিক্যাল ব্যবস্থাপনা অধিকাংশ সময় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহনের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়। কৃষি, প্রানী সম্পদের দারুন সম্ভবনা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় মানুষের উপকারে আসছে না। পর্যটনের ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে সম্ভবনাময় এলাকা হলেও কোন সুদুর প্রসারী প্ররিকল্পনা না থাকায় শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেনি পর্যটন ক্ষেত্র। অন্যদিকে দূর্যোগের প্রধান রক্ষা কবচ উপকূলীয় বাধ এর তৈরীর পর আর কোন সংস্কার বা গবেষনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি সহনশীল কারার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় প্রায়শঃ বাধ ভেঙ্গে জনপথ প্লাবিত হয়।
সামগ্রিক বিচেনায় দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল তথা উপকূলের জন্য পৃথক একটি কতৃপক্ষ কার ছাড়া পিছিয়ে ও ঝুকিতে থাকা এলাকাটিকে উন্নয়ন সমতা নিশ্চিত করে মানুষের বসবাসের উপযুক্ততার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এলাকার সুধি মহল মনে করেন উপকূলে জন্য পৃথক স্বয়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কওর তার মধ্যে উপকূলের বৈশিষ্ঠ অনুযায়ী দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-মধ্যভাগ চিহ্নিত করে উন্নযন কর্মকান্ডের মাস্টারপ্লান তৈরী করা জরুরী।
স্থানীয় ভুক্তভোগি মানুষ মনে করেন সরকারের নীতি নির্দ্ধারকরা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে অবিলম্বে পৃথক স্বায়ত্বসাশিত একটি অথরিটি গঠনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply