নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের সম্প্রসারণযোগ্য জাত সমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বীজ সংরক্ষণ কৃষক প্রশিক্ষণ সোমবার (০১ জুন) সকাল ১০টায় বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’র আয়োজনে, বিনা উপকেন্দ্র’র উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. রোক্নূজ্জামান’র সভাপতিত্বে কৃষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,‘খাদ্য উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষিতে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশের কোন জমি অনাবাদী না রেখে প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। অধিক ফসল উৎপাদনে স্বল্প মেয়াদকাল জাতের বীজ উদ্ভাবন করছে বিনা।’ যে জমিতে ১টি ফসল হয় সে জমিতে ২টি ফসল, যে জমিতে ২টি ফসল হয় সেই জমিতে ৩টি ফসল এবং যে জমিতে ৩টি ফসল হয় সে জমিতে ৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের কাজ করতে হবে। দিন দিন দেশের কৃষকরা বিনা উদ্ভাবিত বীজের প্রতি নির্ভরশীল হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কোন জমি অনাবাদী না রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয় ক্ষতি পোষাতে অধিক ফসল উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব দিতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, এআরই বিভাগ বিনা ময়মনসিং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আল-আরাফাত তপু, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ফার্ম ম্যানেজার মো. ফররুখ আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের সম্প্রসারণযোগ্য জাত সমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বীজ সংরক্ষণ কৃষক প্রশিক্ষণে সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১০০ জন কৃষক ও কৃষাণী অংশ নেয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রিপন হোসেন।
Leave a Reply