গোবিন্দকাটি গ্রামে গৃহবধূ মরিয়মকে পিটিয়ে জখম : থানায় এজাহার

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোবিন্দকাটি গ্রামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, গত ১১ জুন শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়মকে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, জমি জায়গার বিরোধের জের তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ১১ জুন শুক্রবার বিকাল আনুঃ সাড়ে ৪ টায় মরিয়মের বাড়িতে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে গোবিন্দকাটি এলাকার মৃত. ফজর আলীর ছেলে হাফিজুল গাজী, সোহারাফ গাজী, শাহজুল গাজী, মূসা গাজী, আজীম গাজী, ইসারাত গাজীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন একযোগে ধারালো দা, লোহার রড, লোহার হাতুড়ী, কুড়াল, শাবল, বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদীনিকে মারপিট করতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের মারপিটের কারণে বাদীনি মাটিতে পড়ে গেলে হাফিজুল গাজী মরিয়মের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে গুরুতর জখম করে এবং তাকে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করে। এছাড়াও মূসা গাজী মারপিটের সময় রফিকুলের স্ত্রীর ৮ আনা ওজনের একটি সোনার চেইনও কেড়ে নেয়। এসময় মরিয়মের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গুরুত্বর অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, মরিয়মকে দা দিয়ে মাথায় কোপ দিয়েছে তা সত্য ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী সাতক্ষীরা থানায় একটি এজহার দায়ের করলেও তা রেকর্ড না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন। মামলাটি রেকড করে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি সম্পর্কে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এজাহারটি আমার কাছে কেউ নিয়ে আসেনি। কার কাছে এজাহারটি জমা দিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে কোনো অফিসার এজাহারটি আমার কাছে নিয়ে আসলে তা আন্তরিকতার সাথে দেখবো।
এ ব্যাপারে সদর থানার উপ-পরিদর্শক শরিফ এনামুল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ এ একজন ব্যক্তি ফোন করলে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে দু’পক্ষ মারামারি করছে তার সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা দু’পক্ষকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট নেওয়ার কথা বলেছিলাম। গত রাতে মরিয়মের স্বামী বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের কপি আমাদের স্যারের কাছে আছে। স্যার নির্দেশ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহারটি রেকর্ড করবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *