1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২০ অপরাহ্ন
২ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts
📰২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ📰সালমানের বাড়িতে গুলি, গ্রেপ্তার একজন📰সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যানসহ আটক পাঁচ📰সাংবাদিক আবুল কাশেমের শ্বশুরের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের শোক📰আলিয়া মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীর মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কর্মশালা📰সাতক্ষীরা জেলা হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সদর এবং  পৌর শাখার সম্মেলন ও কমিটি গঠন 📰ভোমরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে তিনঘন্টা আটক রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ; আদালতে মামলা দায়ের📰পরিবেশ অধিদপ্তর উদ্যোগে এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সভা 📰শার্শায় বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত📰পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে মতবিনিময় সভা 

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার নেপথ্যে ৪ ট্রাভেল এজেন্সি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ১১৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে
লিবিয়ায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৬ বাংলাদেশি। এছাড়া আরও ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে দেশের চারটি ট্রাভেল এজেন্সি ও অর্ধশতাধিক দালাল চক্র

ন্যাশনাল ডেক্স:

লিবিয়ায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৬ বাংলাদেশি। এছাড়া আরও ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে দেশের চারটি ট্রাভেল এজেন্সি ও অর্ধশতাধিক দালাল চক্র।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য উদঘাটন করেন। এর ভিত্তিতে চার ট্রাভেল এজেন্সি ও ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

সিআইডির এক সূত্রে জানা যায়, অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপপুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেছেন। মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলাটিতে চারটি ট্রাভেল এজেন্সিসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০-৩৫ জনকে।

মামলার এজাহারের ভাষ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা হতাহতরাসহ আরও অনেককে ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় অবৈধভাবে পাচার করেন। এর মধ্যে ২৬ জনকে লিবিয়ায় হত্যা করা হয়েছে, পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১১ বাংলাদেশি। 

এই ঘটনার পেছনে রাজধানীর নাভীরা লিমিটেড এবং ফ্লাইওভার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে বলে সিআইডির তদন্তে উঠে আসে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ মো. মাহবুবুর রহমান ও শেখ সাহিদুর রহমান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার মুকুন্দপুরের মৃত আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে। এ দুটি ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়াও পুরানা পল্টনের স্কাই ভিউ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও বাংলামোটরের লালন নামের আরেকটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সিআইডির হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের অনুসন্ধান বলছে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকসহ অন্য আসামিরা প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রতারণামূলকভাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের পাচার করেছে। কিন্তু সেখানে পাঠিয়ে তাদেরকে কম বেতনে কঠিন শ্রমের কাজে নিয়োজিত করা হতো।

এই মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের নাম : তানজিদ, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল মিয়া, কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, সাদ্দাম, কামাল হোসেন, রাশিদা বেগম, নুর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, আমির শেখ, দিনা বেগম, নজরুল মোল্লা, শাহদাত হোসেন, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, লিয়াকত শেখ, আ. রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, নাসির, সজীব মিয়া, রেজাউল বয়াতী, শেখ মো. মাহবুবুর রহমান, শেখ সাহিদুর রহমান, হাজী শহীদ মিয়া, মো. খবি উদ্দিন ও মুন্নি আক্তার রূপসী।

অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপ পুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল জানান, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগীদের লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখে। মে মাসের মাঝামাঝি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ত্রিপোলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায়। সেখানে আসামিরা লিবীয় সহযোগীদের মাধ্যমে তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সেসব ছবি দেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। 

মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসিমেদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে এক সুদানি স্থানীয় মানবপাচারকারীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিহত মানবপাচারকারীর স্থানীয় সহযোগীরা গত ২৮ মে আসামিদের সহায়তায় হতভাগ্য পাচারকৃতদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে জুয়েল, মানিক, আসাদুল, আয়নাল মোল্লা, জুয়েল-২, মনির, মনির-২, সজীব, ফিরোজ, শামীম, আরফান, রহিম, রাজন, শাকিল, আকাশ, সোহাগ, মো. আলী, সুজন. কামরুল, রকিবুল, লাল চন্দ ও জাকির হোসেনসহ মোট ২৬ বাংলাদেশী নিহত হন। এছাড়া গুরুতর আহত হন আরও ১১ জন। 

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd