যৌতুক দিতে না পারায় স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন কতৃক স্ত্রীকে মারপিট করে ফিনিস পাউডার খাইয়ে হত্যার চেষ্টা !

স্টাফ রিপোটার : যৌতুকের দাবীতে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোক জন কর্তৃক পুরাতন সাতক্ষীরার শেখ মোহাম্মাদ আলীর ছোট কন্যা মরিয়ম সুলতানা মিতুকে মারপিটের পর গালে ফিনিস পাউডার (বিষ) ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের স্বীকার মিতুর বাবা মোহাম্মদ আলী জানান, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে এসে আমার একমাত্র কন্যা মিতুকে পছন্দ করে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের হাকিম মল্লিকের পুত্র শাহাবুদ্দিন সুমন। দুই জনের পছন্দ হওয়ায় উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে বিগত ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। সে সময় সুমন ঢাকা এক্সচেঞ্জ অফিসে চাকুরি করতো। বিবাহের সময় যৌতুকের দাবি মেটাতে জামাতা সুমনকে ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় মটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য। তারপরও সে আমার কন্যার উপর চাপপ্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম আদায় করেছে। এতে সে ক্ষ্যন্ত হয়নি সম্প্রতি আমার জামাতা সুমন চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে এসে ব্যবসার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ব্যবসা করতে পুঁিজ লাগবে, আর পুুঁজির যোগান দিতে আবারো আমার কন্যার উপর চাপপ্রয়োগ করতে থাকে জামাতা সুমন। সে আমার কন্যাকে বলে তোমার পিতার জমি বিক্রয় করে ১০লক্ষ টাকা এনে দাও। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় জামাতা আমার কন্যাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ২ জুন আমার কন্যা মোবাইলে জানায়, আমাকে জীবিত দেখতে হলে এক্ষুনি চলে আসো। কন্যা মিতুর বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, টাকা না দেওয়ায় তার স্বামী সুমন, তার যৌতুক লোভী শ্বশুর হাকিম মল্লিক, মাহিমা খাতুন মারপিট করে আমার কন্যাকে হত্যার জন্য জোরপূর্বক ফিনিস পাউডার খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আমার কন্যা খেতে না চাইলে লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় আমার কন্যা ওই পাউডার খেতে বাধ্য হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌছে কন্যাকে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে তাকে ওয়াশ করে ফেলে রাখা হলে আমরা তাকে নিয়ে সাতক্ষীরায় চলে আসি। সাতক্ষীরায় উন্নত চিকিৎসার পরে আমার কন্যা জীবনে রক্ষা পেলেও গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় রয়েছে। একা একা হাটা চলা করতে পারে না। অথচ ওই যৌতুক লোভীরা একটি বারও তার কোন খবর নেই নি। তিনি ওই যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য তার স্বামী সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ না করায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *