সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর জনগণের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁরা হলেন বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার। সব সীমাবদ্ধতাকে মোকাবিলা করে পরিবর্তন করতে ও একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে গতকাল বুধবার জাতিগত নিপীড়ন ও এর সমাধান প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল টাউন হল আলোচনা সভা করেছিলেন বারাক ওবামা। ওই আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি মার্কিনিদের অনিশ্চয়তা ও কষ্টের দিকগুলো তুলে ধরেন। দাসত্বের ইতিহাস থেকে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ পর্যন্ত কাঠামোগত সমস্যাগুলোকে তিনি কীভাবে দেখেন, তা ব্যাখ্যা করেন ওবামা।
এ ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মেয়রদের উদ্দেশ করে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান ওবামা।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান পার্টির জর্জ ডব্লিউ বুশ লেখেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী লরা দেশে চলমান দমন ও নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আরো লেখেন, এটাই সময়, দেশের বঞ্চিত ও নিপীরিতদের দৃষ্টি দিয়ে ব্যর্থতাকে নিরীক্ষণ করা।
বুশ আরো লেখেন, এর চেয়ে আরো ভাল উপায় হলো, সহানুভূতি, প্রতিশ্রুতি, সাহসী পদক্ষেপ ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শান্তি।
এদিকে বিল ক্লিনটন সোমবার এক বিবৃতিতে লিখেছেন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের স্বপ্ন ছিল, কোনো মার্কিনিকে তার গায়ের রঙ দিয়ে বিচার করা হবে না, যা আজ অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু বুঝিয়ে দেয় যে, একজন মানুষের বর্ণপরিচয় নির্ধারণ করে দেয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
জিমি কার্টার গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জনগণের শক্তি ও নৈতিক বিবেক সম্পন্ন মানুষকে অবশ্যই বর্ণ বৈষম্যমূলক পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা, সাদা ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ তিনি জানান, জনগণের মতোই একটি ভালো সরকার প্রয়োজন।
এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক কর্মকর্তাও।
গত ২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ চলছে।
Leave a Reply