ই-ওয়ালেট সেবার লাইসেন্স পেল রিকারশন ফিনটেক

ই-ওয়ালেট সেবার জন্য পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাই‌সেন্স পেল রিকারশন ফিনটেক লিমিটেড। ‘ক্যাশ বাবা’ নামে প্রতিষ্ঠানটি ই-ওয়ালেট সেবা দিবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত  সার্কুলার লেটার জারি করা হয়েছে। এনিয়ে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠান ই-ওয়ালেট সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পেল। ই-ওয়ালেট হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে অ্যাপভিত্তিক অর্থ রাখার একটি ব্যবস্থা। এতে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় টাকা জমা রেখে দেশের মধ্যে অনলাইনে লেনদেন করা যায়। 

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর ৭ (এ) (ই) ধারার আওতায় জারিকৃত বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন ২০১৪ অনুসারে দেশে ইলেকট্রনিক লেনদেন প্রসারের লক্ষ্যে রিকারশন ফিনটেক লিমিটেডকে শর্তসাপেক্ষে দেশের অভ্যন্তরে ই-ওয়ালেট সেবা প্রদানের জন্য পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে ই-ওয়ালেট সেবার দেওয়ার জন্য আইপে সিস্টেমস লিমিটেডকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম পিএসপি লাইসেন্স দেয়। দেশের প্রথম অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মটি আইপে নামে পরিচিত। এরপর ডি মানি বাংলাদেশ নামের আরকটি কম্পানিকে ই-ওয়ালেট সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বাংক লাইসেন্স দেয়।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাং‌কের লাই‌সেন্স ছাড়াই অনেক প্রতিষ্ঠান ই-ওয়ালেট সেবা দিয়ে আসছিল। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাই‌সেন্স ছাড়া পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের (পিএসও) কোনো ধরনের সেবা না দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নি‌র্দেশ দেওয়া হয়। একই স‌ঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না রাখ‌তে নি‌র্দেশ দেয় বাংলা‌দেশ ব্যাংক। এবিষয়ে গত ৬ মার্চ নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *