সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা বাজারে আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী কসাই আফসারের মাংস বিক্রয়য়ের অনুমতি বাতিলসহ শাস্তির দাবিতে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে স্থানিয় এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিদের যোথ উদ্দেগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে সমাবেশে এলাকার মসজিদের মসুল্লিসহ শতশত সাধারন মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, কসাই আফসার কয়েক বছর যাবৎ মসজিদের পাশে গরুর খামার বানিয়ে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সামান্য বৃষ্ঠি হলেই মসজিদেও পাশেয় বাথরুম, গরুর খামারের মল, মুত্র, পশুর জবাইকৃত রক্ত পানিতে টুইটম্বর হয়ে চরম দূগন্ধ ও অসাস্থকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই জন্য আমরা তাকে অনেকবার বলেছি অন্য বাজারের মত নিয়ম নীতি মেনে পরিছন্ন পরিবেশে মাংশ বেচা কেনা করতে বলেছি কিন্তু সে কোন কিছু মানতে পারবে না। অবশেষে আমরা মসজিদ কমিটির পক্ষ্য থেকে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অবঃ প্রপ্ত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন বাংলাদেশে কোন বাজারে মসজিদের পাশে গরুর খামার বানিয়ে নোংরা পরিবেশে মাংস বিক্রয় করতে দেখা যায় না। অথচ সে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে প্রকাশ্যে বাজারের মসজিদের পাশে নোংরা পরিবেশে মাংস বিক্রয় করছে।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা বলেন, আলোচিত কসাই দীর্ঘ্যদিন যাবৎ রোগা ও অসুস্থ্য গরু রাতারাতি বাড়িতে জবাই করে আকড়াখোলা বাজারে এনে বিক্রয় করছে যা এলাকাবাসী জানে। তাছাড়া পবিত্র ঈদউল ফিতরের দিনে কয়েকজন মুসল্লিদের নিকট পচাঁ ও বাশি মাংস বিক্রয়ের অভিযোগে হাজার হাজার জনতার বিক্ষোবের মুখে সদর থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। যা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার মামলা নং-২৬৯/২০ অথচ এই মামলার আলোচিত কসাই সদ্য আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আগের মতোই আবারও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাজার কমিটির সেক্রটারির নিকট জানতে চাইলে প্রতিবেদককে বলেন, সে কোন নিয়ম নীতি মানে না। সে বাজারের মসজিদের পাশে গরুর খামার বানিয়ে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যাতে করে মসজিদের মুসল্লিদের গরুর রক্ত ও মল মূত্রের গন্ধে অসাস্থ্যকর পরিবেশ গঢ়ে উঠেছে।
এলাবাসিদের দীর্ঘ্যদিনের অভিযোগ, কসাই আফসার মসজিদের পাশে বসে রোগা, মরা গরুর ও ভারতের মাংস এনে বিক্রয় করে। অথচ নির্বাহি অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজে আসেনি। এছাড়া এই কসাই আখড়াখোলা বাজারসহ পার্শ্যবতি কয়েকটি বাজারে ঔ মাংস বিক্রয় করে। তার রয়েছে ১৫ থেকে ২০ সদস্যর একটি সহযোগি দল। কোন কোন সদস্য বর্ডার থেকে মাংস আনে আবার কোন সদস্য মাংস বিভিন্ন বাজারে বিক্রয়ের কাজ করে। আমরা তার বিরুদ্ধে কোন অপকর্মের প্রতিবাদ করতে পারি না। তার আছে বিশাল সত্রাসী বাহিনি। আমরা এলাকাবাসীরা বাজারের মাংস বিক্রয়ের স্থান পরিবর্তনসহ কসাইয়ের মাংস বিক্রয়ের অনুমতি বাতিলের ও শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।
Leave a Reply