করোনাকে নিয়েও যখন ধর্মীয় দ্বেষ ছড়ানোর অ্যাজেন্ডায় পিছপা হচ্ছে না শাসকদল বিজেপির নেতা-কর্মীরা সেই সময় দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ল মীরাট। লকডাউনের মধ্যেই মারা যান মীরাটের শাহপীর এলাকার পুরোহিত ৬৮ বছরের রমেশ মাথুর। বড় ছেলে কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। ফলে উপস্থিত হতে পারেননি বাবার শেষকৃত্যে। ছোট ছেলের একার পক্ষে সবটুকু দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই রোজার উপবাস রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা। জয় হল মানবতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মীরাটের এই সম্প্রীতির ছবি।
ছোট ছেলে চন্দ্রমৌলি মাথুর জানিয়েছেন, ‘বাবার খাদ্যনালীতে টিউমার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্সা চলছিল। মঙ্গলবার মারা যান। দাদা দিল্লিতে থাকায় লকডাউনের জেরে ফিরতে পারেননি। লকডাউনে কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসতে পারেননি। এই সময় প্রতিবেশীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাবার দেহ নিয়ে যান শ্মশানে।’ সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্যের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বুধবার। এলাকারই এক বাসিন্দা “শুধু আমরাই নয়, আমাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে এভাবেই সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। আমাদের এই সংস্কৃতি কয়েকশো বছরের।”
সুত্র: গণশক্তি
Leave a Reply