দু’বছর হয়ে গিয়েছে শ্রীদেবী নেই। দুবাইয়ের এক সাতমহলা হোটেলের বাথটবের রক্তাক্ত জলে ভেসে উঠেছিল তাঁর নিথর দেহ। মৃত্যু, স্বেচ্ছামৃত্যু, ষড়যন্ত্র নাকি খুন? বিতর্ক আজও অব্যাহত। আরবসাগরের বুকে এখনও ভেসে বেড়ায় তাঁর নীরব কলোরব। মা নেই, আজও বিশ্বাস হয় না জাহ্নবীর। কত কিছু বলার ছিল মাকে। কত আবদার-আদর বাকি ছিল তাঁর। শেষ বার কী কথা হয়েছিল মা-মেয়ের? কর্ণ জোহরের শো-য়ে সেই স্মৃতিচারণায় চোখ ভিজে এল জাহ্নবীর।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮। মারা যান শ্রীদেবী। এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। মেয়ে জাহ্নবী তখন নতুন ছবির শুটিং নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না তাঁর। মা’র কাছে আবদার করেন ‘ঘুম পাড়িয়ে দাও’। শ্রীদেবীর হাতে তখন একগাদা কাজ। প্যাকিং বাকি, বাড়ির কাজ। কিন্তু মেয়ের আবদার কি ফেলা যায়?
জাহ্নবী শুয়ে পড়লে আসতে আসতে মেয়ের মাথার কাছে বসে হাত বোলাতে থাকেন শ্রীদেবী। মেয়ে তখন আধোঘুমে। মায়ের হাতের ছোঁয়ায় ক্রমশ চোখের পাতা ভারি হতে থাকে তাঁর। “ঘুম লাগা চোখেই বেশ বুঝতে পারছিলাম মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে”, বলেছিলেন জাহ্নবী। পরের দিন ভোর বেলা শুটিং ছিল। তাই ‘মা আসছি’ আর বলা হয়নি তাঁর। মা-ও উড়ে গিয়েছিলেন বাণিজ্যনগরীতে।
Leave a Reply