প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের প্রণোদণার অর্থ ও ত্রাণ পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাতক্ষীরার ১৩ টি অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি ফাইমুল হক কিসলু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ইলেক্ট্রিশিয়ান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা হোটেল রেস্তোরা ও বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম বাচ্চু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বোর্ড ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জামাল আহমেদ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক ইদরুসুল ইসলাম পলাশ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা টাইলস মোজাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বাবু প্রমূখ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোজাফ্ফার এর সঞ্চালনায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বর্ণ ছাই শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নবকুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউল হক, সাতক্ষীরা সদর উপজেরা সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদ হাফিজুল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বর্ণকার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গৌরাঙ্গ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক উৎপল সরকার সহ ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়ন, ফার্নিচার ও রং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদ আব্দুর রাজ্জাক, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ওয়েলডিং ওয়ার্কসপ শ্রমিক ইউনিয়ন, সদর উপজেলা স্বর্ণকার শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিগত ২৬ মার্চ ২০২০ খ্রি: হতে লকডাউন হওয়ার পর কর্মহীন জেলার ১৩টি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত এর আনুমানিক ১৫৩৪০ জন শ্রমিক। ওই শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল তাদের পরিবারের প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। ফলে তারা স্ত্রী-সন্তান-পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা অন্যান্য সংগঠনের শ্রমিকরা পেলেও অনাকাঙ্খিত ভাবে বঞ্চিত তারা। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য প্রনোদণা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক হয়েও তারা কোনো ত্রাণ ও প্রনোদণার অর্থ পাইনি। তাই, বরাদ্দকৃত অর্থ মোবাইল ব্যাংকি এর মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
Leave a Reply