স্টাফ রিপোর্টার : কয়রায় করোনা উপেক্ষা করে চলছে সরকারী খাল দখলসহ ভবন নির্মানের কাজ। প্রশাসন যে সময় ব্যস্ত করোনা ভাইরাস প্রভাবমুক্তের কাজে সে সময় সকল নজরদারী এড়িয়ে পাকা ভবন নির্মানে করছে এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা এক ব্যক্তি । দখলদার উপজেলার ঘড়িলাল গ্রামের মৃত বারী খানের পুত্র আব্দুস ছামাদ খান। প্রশাসনের পূর্বের নিষেধাজ্ঞায় তার নেই কোন কর্নপাত। জানাযায়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার সংলগ্ন ঘড়িলাল কাটা খালের উপর বিগত দুই বছর পূর্বে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি বালু ভরাট করে মাছের কাটা নির্মানের চেষ্টা করে। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিষেধাজ্ঞায় বালুভরাট অবস্থায় বন্ধ হয় কাজ। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশও যখন আতংঙ্কে দিশেহারা ঠিক তখনই ঘড়িলাল বাজারের সভাপতি পরিচয় দানকারী আব্দুস সামাদ খান প্রভাব খাটিয়ে পূর্বের নিষেধাজ্ঞার কোন তোয়াক্কা না করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ দোকান নির্মানের কাজ। রাতারাতী স্থাপনা নির্মান করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক রাজমিস্ত্রী ও লেবার। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারি ছুটি থাকায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভুমি অফিসার মহোদ দের মুটোফনে অবগত করলে বিষয়টি তারা দেখবেন বলে আশ্বস প্রদান করেন। আব্দুস ছামাদ খান এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় চলাচল করে। বিষয়টি নিয়ে জানমনে এখন একটাই প্রশ্ন যে আদৌকি সরকারি যায়গা উদ্ধার হবে নাকি প্রভাবশালি ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সরকারি যায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে যাবে? এ বিষয়ে সাধারণ জনগণ উপজেলা প্রশাসন তথা ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবি সামছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে জানান,আমার কিছু জানা নেই।এদিকে উপজেলা নির্বহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন,অবৈধ স্থাপনা নির্মানের বিষয়টি আমি শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছি।
Leave a Reply