আসাদুজ্জামান : করোনা পরিস্থিতিতে খামার নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তায় সাতক্ষীরার তালার দুগ্ধ খামারীরা। প্রতিদিন সেখানে নষ্ট হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার লিটার দুধ। আয় না থাকায় গো খাদ্য কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে খামারীরা।
তালা উপজেলার জিয়ালা নলতা গ্রাম দুধপল্লী হিসেবে বহু আগে থেকেই পরিচিত। এই গ্রামে চার শতাধিক দুগ্ধ খামার রয়েছে। তাদের দেখাদেখি আঠারই গ্রামসহ আশপাশে আরো অর্ধ শতাধিক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠেছে। এই এলাকায় এক হাজার খামারে প্রায় দশ হাজার গাভি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয় শুধু ওই তিনটি গ্রামেই।
লিল্কভিটা প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার এবং আকিজ ৬০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করতো তাদের কাছ থেকে। বাকী দুধ সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন এলাকার মিষ্টির দোকান, কারখানাতে সরবরাহ করতো তারা। দুধের দামও তারা ভালোই পেত। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের কারনে মিষ্টির দোকান ও অন্যান্য কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুগ্ধ খামারিরা পড়েছেন চরম সংকটে। এতে করে ১০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে সেখানকার দুধ।
তালা দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সবাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ নষ্টের হাত থেকে বাঁচতে না পারলে তাদের অনেকেরই পথে বসতে হবে।
বিশ্বব্যাপী এই মহামারিতে দেশের সরকার প্রধান সকল সেক্টরেই আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই ঘোষনা অনুযায়ি দুগ্ধ খামারিদের সরকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা দুগ্ধ খামারিদের।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবল হোসেন জানান, খামারিদের সমস্যা সমাধানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে ।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শিশু খাদ্যের জন্য এ জেলায় যে বরাদ্দ দিয়েছেন, এই বরাদ্দের মাধ্যমে এই দুধ ক্রয়ের একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিল্কভিটার মাধ্যমে এই দুধ নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, মিল্কভিটার চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে শিশু খাদ্যের জন্য যে দুধ প্রয়োজন তা যেন সাতক্ষীরা জেলা থেকে নেয়া হয়।
Leave a Reply