দেবহাটায় থেমে নেই ইছামতির বালু বহনের কাজ : ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস

এস এম নাসির উদ্দীন : দেবহাটায় থেমে নেই ইছামতি নদীর বালু বহনের কাজ। এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। স্থানীয়দের অভিযোগ রাতের আধাঁরে পাচার হতে পারে ভারতীয় নেশা সামগ্রীসহ অবৈধ মালামাল। বর্তমানে নেই কোন ইজারা , তবু থেমে নেই বালু বহনের কাজ। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার একেবারে গাঁ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদী ইছামতী। উপজেলার কোমরপুর, ভাতশালা, টাউন শ্রীপুর, সুশীলগাতী, বসন্তপুর, নাংলা, নওয়াপাড়াসহ ইছামতীর কয়েকটি জায়গায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন । স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর তীর থেকে বালু তোলার কারণে নদীর বাঁধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন বালুমহলের ইজারা বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কয়েক বার। তার পরেও থেমে নেই বালু উত্তোলনের কাজ। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বেড়ি বাঁধসহ ফসলী জমি,মৎস্য ঘের ও ঘরবাড়ি । তাতে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে দেবহাটাতেও চলছে কঠোর আইনী প্রয়োগ। নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকান খোলা থাকলেও পন্য বেঁচা কেনায় থাকছে মাস্ক পরাসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার প্রশাসনিক কঠোর নির্দেশনা। এরই মাঝে প্রশাসনের নাকের ডগায় বালু ব্যবসায় মেতেছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।সরোজমিনে দেখা যায়,দেবহাটা সদরে অবস্থিত থানা এবং বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যবর্তী স্থানে বাজার সংলগ্ন এলাকার ইছামতি নদীর তীরের গাঁ ঘেষা প্রধান সড়কের উপরে আছে বড় বড় বালূর স্থুপ।আর এ স্থুপের পানির ধারানীতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ধ্বংস হচ্ছে কয়েকশ গাছ । ভু-খন্ড বিলীন হচ্ছে নদী গর্ভে। তাতে আবার ট্রাকের বালু লোর্ড আনলোর্ডের কাজে যে সব বালু শ্রমিকরা কাজ করছে তাদের মুখে নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার হিসাব নিকাশ। তাছাড়া রাতে বালু বহনের সময় মাদকসহ পাচার হতে পারে ভারতীয় অবৈধ মালামাল বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি। আর এ সকল ট্রাক গুলো কোথা থেকে আসছে বা কোথায় যাচ্ছে এ নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। এই ট্রাক গুলো যাতায়াতের ফলে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। এ ব্যাপারে দেবহাটা বিজিপি ক্যাম্প কমান্ডার জামশেদ জানান,সরকার ওদের বালুর অনুমোদন দিয়েছে আমরা বন্ধ করতে পারিনা ,সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখলে সে বিষয়ে বলা যায়।তবে রাতে বালু বহনের ক্ষেত্রে মাদক পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,হতে পারে কিন্তু আমরা সচেতন আছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন জানান, রাতে বালু বহনে কোন মাদক পাচার হলে বিজিবি দেখবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *