দেবহাটার ইসলামিয়া ব্রিকসে নারী কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম

দেবহাটা ব্যুরো: সারা দেশে বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এসময় সকলকে জনসংগমে না থেকে নিরাপদে বাড়িতে অবস্থান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এঅবস্থায় অধিক কর্মচারী নিয়ে চলমান আছে দেবহাটার সখিপুরে মেসার্স ইসলামিয়া ব্রিকসের কাজ। কর্মচারীরা মানছে না কোন সামাজিক দুরত্ব। এখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন। কর্মচারীরা প্রায়ই ব্যস্ত হট্টগোলে। এরই মধ্যে রবিবার সন্ধার পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারী কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আহত দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের শেখ আমির হামজার কন্যা আজমিরা খাতুন (২৭) গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত আজমিরা খাতুন জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে সখিপুর ভাটায় রাধুনী হিসেবে কাজ করে আসছি। রবিবার রাতে ভাটায় কাজ করা কর্মচারীদের জন্য ভাত রান্না করার পর ভাতের মাড় নেওয়ার জন্য ভাটার শ্রমিক দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের শেখ সিদ্দিক হোসেনের পুত্র শেখ তৌহিদ হোসেন লালু আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি তাকে গালি গালাজ করতে নিষেধ করলে সে আমার উপর আরো ক্ষেপে ওঠে এবং ভাটার মধ্যে বসবাস করা ঘরের হাক দিয়ে আমার মাথায় ও হাতে বাড়ি মেরে গুরুতর জখম করে। এসময় আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ভাটার অন্যান্য কর্মচারীরা আমাকে উদ্ধার করে। পরে ভাটা কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে বাঁচাতে স্থানীয় এক গ্রাম ডাক্তার নিয়ে এসে সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। আজমিরা খাতুন আরো বলেন, ভাটা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উক্ত শেখ তৌহিদ হোসেন লালু প্রভাবশালী হওয়ায় আমি হামলার শিকার হয়েছি। এমনকি আমাকে অসুস্থ অবস্থায় সোমবার সকালে রান্নার কাজ করতে বাধ্য করলে আমার ভাই রমজান আলীকে মারপিটের হুমকি দেয়। আমাকে অন্যায় ভাবে মারপিট করার পরেও এর কোন বিচার নেই। এঘটনায় শেখ তৌহিদ হোসেন লালুর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সে সময় আমি রাগের বসির্ভূত হয়ে তাকে আঘাত করি। এবিষয়ে ভাটার ম্যানেজার ভাটার ম্যানেজার নিউজটি না করার জন্য অনুরোধ জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *