সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে গণজমায়েত অব্যাহত
মাহফুজুর রহমান: শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারের দোকানীরা ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানসহ অন্যান্য অধিকাংশ দোকান খোলা রাখছে। খুব ভোরে বাজারের কয়েকটি চায়ের দোকানের সার্টার অর্ধেক খুলে চা বিক্রয় করছে। অনেক দোকানের ভিতরে খরিদ্দার ঢুকিয়ে সার্টার বন্ধ করে বাহিরে একজন পাহারা দিচ্ছে। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে না অন টাইম কাপ সকালে চা খাওয়ার জন্য ভিড় করছে বহু মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের মাধ্যমে চায়ের কাপের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা। অনেক দোকানের ভিতরে খরিদ্দার ঢুকিয়ে সার্টার বন্ধ করে বাহিরে একজন পাহারা দিয়ে থাকে। সকালে চা খাওয়ার জন্য ভিড় করছে বহু মানুষ। এসব দোকান দুপুরের সময় বাদে প্রায় সারাদিন বন্ধ দেখিয়ে ভিতরে তাদের কার্যক্রম চলে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাত্র ৩টা থেকে ভোট ৬টার মধ্যে মৌ-খামারিরা ট্রাক ভর্তি মৌমাছির বাক্স নিয়ে আসছে সুন্দরবনের ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর, সিংহড়তলী, চুনকুড়ি, মীরগাং, দক্ষিণ কদমতলা, টেংরাখালীসহ সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে তারা অস্থায়ী মৌখামার স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে। মৌখামারিরা ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌ-মাছির বাক্স নিয়ে অস্থায়ী খামার বসিয়ে মৌসুমি ফুলের মধু সংগ্রহ করে উপকূলে চলে এসেছে সুন্দরবনের ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। এরা এলাকায় এসে বাহিরে ঘোরা ফেরা করছে মানছে না করোনা প্রতিরোধের কোন নিয়ম নীতি। এছাড়া সেলুনের দোকনগুলো কাষ্টমারদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সার্টার বন্ধ করে ভিতরে বসে সেলুনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এভাবেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মৌ-খামারিরা চুল কাটানো বা সেভ করতে আসছে। শুক্রবার খুব সকালে হরিনগর বাজারে লক্ষ্য করা যায়, মানুষের ভিড় মানছে না কোন নিয়ম নীতি। এখানের কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ প্রশাসনকে পাহারা দিয়ে বাজার বসিয়ে বেচা-কেনা করছে। সাধারণত প্রশাসনের কর্মকর্তারা সকাল ১১টার পরে উক্ত উপকূল এলাকায় এসে পৌঁছায় তার আগে বাজারে দোকান খুলে কেনা-বেচা করে দোকানিরা এবং ব্যাপক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভোরে ও বিকাল ৪টার পরে বাজারে অকারনে মানুষ চলা ফেরা করে এবং চায়ের দোকানে সার্টার বন্ধ করে আড্ডা দেয় এক দল বাহির হলে আরেক দল ঢোকে। প্রশাসন আসছে শুনলে দ্রুত পালিয়ে যায়। বাজারে কম্পিটারের দোকানের সার্টার সামান্য খুলে কাষ্টমার ভিতরে ঢুকায়ে নিয়ে সকালে ও বিকালে মোবাইল ফোনের মেমরী লোড করছে দোকানীরা এবং বাহিরে একজন দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে কখন প্রশাসন আসে। সংকেত দিলে ভিতরে চুপ করে বসে থাকে। তাপষ কুমার মন্ডলের মিষ্টির দোকানের ২য় তলায় মিষ্টি তৈরি করে খুব সকালে ও বিকালে সার্টার অল্প খুলে ভিতরে মানুষ ঢুকায়ে নিয়ে মিষ্টি বিক্রয় করছে এবং একই প্রিচে বা পাত্রে মিষ্টি পরিবেশন করছে এতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। বাজারের দোকানগুলো কাষ্টমার ঢুকায়ে নিয়ে এমন ভাবে সার্টার বন্ধ করে পাাহারা দিয়ে পন্য বিক্রয় করছে বাহির থেকে দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে একজন ব্যক্তির থেকে বহু মানুষে ছড়িয়ে যাবে করোনা। এলাকার সচেতন মহল এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করছে এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Leave a Reply