আইযুব হোসেন চলে গেলেন না ফেলার দেশে। আজীবন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার লডাইয়ে যুক্ত থাকা মানুষটি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৫৮ সালের ১ অক্টোবর। জন্মস্থান পশ্চিমবাংলার বশিরহাটের সংগ্রামপুরের বিরামপুর গ্রামে। কুশখালিতে নানার বাড়ী থেকে লেখা পড়াকরেন। স্বাধীনতার পর সাতক্ষীরা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। এ সময় জাসদ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হন। কলেজে অবস্থায় ১৯৭৫ সালে পুলিশে হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের সময় মারাত্মক ভাবে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। একটানা সাড়ে তিন বছরের মত জেল খেটে ৭৮ সালের শেষ দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর গ্রেফতারের খবরে তার পিতামাতা এক সম্পাহের মধ্যে মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৭৯ সালে সাতক্ষীরা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। এবং বছর সহ-সভাপতি(ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ত্যাগি এ রাজনৈতিক নেতা ১২ জুলাই ১৯৮৫ আলেয়া খাতুনের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন সন্তান দুই মেয়ে ও একপুত্র। বড় মেয়ে শারমিন শান্তা ¯œাতক শেষ করেন। মজে পুত্র আলী আম্বীয়া চঞ্চল শিক্ষা নবীশ আইনজীবী আর ছোট মেয়ে জেসমিন স্বম্পা ঢাকা মেডিকেলে সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত।
আজীবন লড়াকু মানুষ প্রচন্ড দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে চলেছেন। কিন্তু কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, জাসদের ত্যাগী নেতা, সামরিক শাসন, সামপ্রদায়িক শক্তি বিরোধী লড়াইয়ের যোদ্ধা – আজীবন সমাজতান্ত্রিক চেতনার ধারক আইয়ুব হোসন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ২৯ এপ্রিল বিকালে মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a Reply