২৫ শে মার্চ ২০২০ বুধবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় তিন ও চার নম্বর কলামে “অবৈধ ভাবে বসত ঘর দখল থেকে রক্ষা পেতে শ্যামনগরে মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীর সংবাদ সম্মেলন” শীর্ষক সম্মেলনটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনটি সম্পূর্ন রুপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি সুকুমার চক্রবর্তী, পিতা- মৃত শিবপদ চক্রবর্তী, গ্রাম+পোঃ নকিপুর, উপজেলা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা। আমার পিতা ছিলেন একজন নির্ভীক আওয়ামী লীগ সন্তান। ১৯৭১ সালে শত নির্যাতনের পরেও এদেশ ত্যাগ করেননি। আমার পিতা ০৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ একাধারে সুনামের সাথে মেম্বর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমার সহোদর বড় ভ্রাতা দূর্গাপদ চক্রবর্তী দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ ০৩ নং সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন এবং আমার সহোদর মেঝ ভ্রাতা শক্তিশেখর চক্রবর্তী ০৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর হিসাবে ১০ বছর যাবৎ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন এবং তিনি ০৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। আমি শ্যামনগর থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে শ্রমিক ভাইদের অত্যান্ত আস্তাভাজন ব্যক্তি হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছি। আমি পেশায় একজন সরকারি ঠিকাদার হিসাবে নিয়োজিত আছি এবং ট্রাক মালিক সমিতির একজন সদস্য। আমি গত ইং- ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্পূর্ন নিজ অর্থে শ্রমিক ভাই ও জনগনকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছি। যাহা শ্যামনগর থানার সর্বস্তরের মানুষ দেখেছে বা জানে। আমি ২০১৭ সনে শ্রীফলকাটি আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র জি.এম.মিজানুর রহমানের নিকট থেকে শ্যামনগর মৌজায় এস.এ ২২৬ নং খতিয়ানে ৫৯ ও ৬১ নং দাগের মধ্যে .০৭ শতক জমি ক্রয় করি এবং সেই জমিতে নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র সু-সম্পন্ন করি। আমি ও আমার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য বারেক গাজী ও তাহার দুই পুত্র গত ইং- ২৫ শে মার্চ ২০২০ তারিখ রোজ- বুধবার, দৈনিক দৃষ্টিপাত সহ বিভিন্ন পত্রিকায় আমাকে এবং আমার মামী মোছাঃ মমতাজ খাতুনকে নিয়া অত্যান্ত নোংরা ও আপত্তিকর ভাষায় আব্দুল বারেক গাজী যে সংবাদ সম্মেলনটি করে তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। মৃত খোরশেদ আলম আমার অত্যান্ত শ্রদ্ধাভাজন পৃত্রিসমতুল্য ব্যক্তি ছিলেন। আমি তাকে মামা বলে ডাকতাম উনিও আমাকে নিজের ভাগ্নের মত ভালবাসতেন। সে কারনে তাদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের অবাধে যাতায়াত, আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। মামীও আমাকে নিজের ভাগ্নে ছেলের মত ভালবাসেন। অতএব বারেক গাজী মামীকে ও আমাকে নিয়ে যে নোংরা ও আপত্তিকর সংবাদ সম্মেলন করেছে তার একমাত্র কারণ- আমি ২০১৭ সালে জি.এম.মিজানুরের নিকট থেকে এস.এ ২২৬ নং খতিয়ানে শ্যামনগর মৌজায় .০৭ শতক জমি ক্রয় করি সেই জমিতে বারেক গাজী বার বার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করে কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়।
সর্বশেষ ২০/০৩/২০২০ তারিখ রোজ- শুক্রবার, ভোর রাত্রে ২৫/৩০ জন গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন লাঠি সোটা দা, সাবল সহ সিমেন্টের কিছু খুটি নিয়া আমার ক্রয়কৃত জমির উপর দখল করিতে গেলে মামি আমাকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। অত:পর আমি তাৎক্ষনিক ভাবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে শ্যামনগর থানার ওসি সাহেবকে জানিয়ে দেন। শ্যামনগর থানার ফোর্স এসে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। ততক্ষনে বারেক গাজীর সন্ত্রাসীরা কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি মাটিতে পুতে ফেলে পালিয়ে যায়। বারেক গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা নামধারী পরসম্পদলোভী, মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু নামে আখ্যায়িত করা যায়। কারণ ইতিপূর্বে বহু শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষের নামে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা করিয়াছে। যাহার সুস্পষ্ট প্রমান রহিয়াছে। যাহার বহু মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী একই ব্যক্তি হইতেছে। এছাড়া সরকারি খাস খাল, খাস জমি অবৈধ ভাবে বিরোধপূর্ন জমিতে দখলের অনেক প্রমানাদি রহিয়াছে। খোরশেদ মামার মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীকে শ্যামনগর থানার পুলিশ জুয়ার বোর্ড থেকে ধরে এনে সাতক্ষীরায় চালান করে এবং কয়েক দিন পরে খোরশেদ মামা সাতক্ষীরা থেকে তাকে জামিন দিয়ে ছাড়িয়ে আনে, যাহার প্রমান আছে। বারেক গাজীর ছোট পুত্র রাজগুল আহম্মেদ @ রাজুু বিভিন্ন এনজিও এবং বহু মানুষের নিকট থেকে চিটিং করে চেকের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। সেই সব নিরীহ লোকেরা সাতক্ষীরা আদালতে বিচারপ্রার্থী।
অতএব আগামী ২৫ শে মার্চ ২০২০ এর মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে মামলাবাজ ও ভূমি দখলবাজ মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীর মিথ্যা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে আমার সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষা করিতে পারি তাহার সু-ব্যবস্থা করিতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
(সুকুমার চক্রবর্তী)
পিতা- স্বর্গীয় শিবপদ চক্রবর্তী
সহ-সভাপতি
শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিক লীগ
শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
মোবা: ০১৭১১-০৪৭২৬৯
Leave a Reply