ভয়াবহ করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবী। এর মধ্যে ভাইরাসটি ২০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে কভিড-১৯। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ২৪ হাজার জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ।
সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২১১। এরপর স্পেনে মারা গেছে ৪ হাজার ৩৬৫ জন। চীনে মারা গেছে ৩ হাজার ২৯১ জন।
গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল চীন। দেশটিতে সংক্রমণ থেমে যাওয়ায় ভাইরাসটির নতুন কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপ। ফলে গত কয়েক দিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি ও স্পেন।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৭৮২ জন। স্পেনে ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন মানুষকে আক্রান্ত করেছে কভিড-১৯।
এ ছাড়া ইরানে মারা গেছে ২ হাজার ২৩৪ জন। ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৬৯৮। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে এক হাজার ২৯৬ জন মানুষ।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন হয়ে গেছে অনেক দেশ। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্য।
শতাধিক দেশে বন্ধ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জনসমাগম রোধে। অধিকাংশ দেশ বাতিল করে দিয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ইউরোপে আক্রান্তের কমে এসেছে। তবে আমেরিকায় সে সংখ্যা বাড়ছে। তাই অঞ্চলটি করোনার নতুন উপকেন্দ্র হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসকে গোটা মানবজাতির জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গোটা মানবজাতিকেই এর মোকাবিলা করতে হবে বলে তিনি জানান।
কভিড-১৯ ভাইরাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক আনতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণায়। বিজ্ঞানীরাও রাতদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
সূত্র- দেশ রূপান্তর / দেশবিদেশ
এম এন / ২৭ মার্চ
Leave a Reply