আশাশুনিতে মুরগী খামার ব্যবসায়ীর অসচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় মুরগীর দূষিত বিষ্ঠা থেকে করোনার জীবানু ছড়ানোর আতংকে গ্রামবাসী

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কুল্যা পশ্চিম পাড়ায় মুরগী খামার ব্যবসায়ীর অসচেতনতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থানায় মুরগীর খামারের দূষিত বিষ্ঠা মহামারি করোনা ভাইরাসের জীবানু ছড়ানোর আতংকে ভুকছেন কুল্যা গ্রামবাসী। এ আতংকে অনেকে গ্রাম ছেড়ে অত্রে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমনি গিয়ে দেখা গেছে, পোল্টি খামার ব্যবসায়ী অরেবিন্দু কর্মকার কুল্যা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় বহুতল ভবনে বয়লা মুরগীর চাষ করছেন। কিন্তু এসকল মুরগীর বিষ্ঠা ভবন থেকে সরাসরি নিচে ফেলে রেখে পরিবেশ নষ্ঠ করছেন। ফাঁকা জায়গায় মুরগীর দূষিত বিষ্ঠা ফেলে রাখায় একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ অন্যদিকে সেখানে জন্ম নিচ্ছে মশা, মাছি সহ অসংখ্য জীবানু। এলাকাবাসীর অভিযোগ খামার এলাকা থেকে জন্ম নেওয়া মশা মাছির উপদ্রব্যে এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে দাড়িয়েছে। ইতি মধ্যে অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি চলে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ব্যপারে জানাতে চাইলে খামার ব্যবসায়ী অরেবিন্দু কর্মকার এ প্রতিবেদনকে বলেন, আমার পরিবেশের ছাড়পত্রসহ সকল কাগজপত্র আছে। পরিবেশ দূষণ কেন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কয়েক দিনের মধ্যেই ময়লা পরিস্কার করা হবে।
বিষয়টি কুল্যা ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মাজেদ গাজীকে অবহিত করা হলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পরিবেশ দূষণ না করার জন্য খামার ব্যবসায়ীকে তিনি সতর্কতা করার আশ্বাস দেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে কুল্যা ইউপির উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকদেব কুমার সাধু বলেন বিষয়টি আমার জানাছিলো না তবে পরিবেশ দূষণ করলে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমতাবস্থায় চলতে থাকলে মুরগীর দূষিত বিষ্ঠা থেকে করোনার জীবানু বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *