আশাশুনিতে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত


আশাশুনি উপজেলা প্রতিবেদক:পাখির মতো মানুষ আজ ঘরে ফিরে যেয়ে বসে আছে। বাইরে করোনা আতঙ্ক। বের হওয়া যাবে না। ঘরে থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে। নির্জন জনশূন্য পথঘাট। ব্যস্ততম ফাঁকা রাস্তা দেখলে মনের ভেতরটা কেমন হাহাকার করে ওঠে। যদিও করোনায় পৃথিবীর অনেক দেশে লম্বা হয়েছে লাশের মিছিল।
২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনের অসামান্য এক মাস। একাত্তরের স্মৃতিকাতর স্মরণকাল। ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে ডাক এসেছিল, ২৬ মার্চের সশস্ত্র সংগ্রামে তা পূর্ণতা পেয়েছে। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই ২৫ মার্চ শান্তিপ্রিয় বাঙালির ওপর হায়নার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদাররা। রাতের অন্ধকারে। যখন মানুষ দিনের পরিশ্রান্ত শরীর এলিয়ে দিয়েছিল শয্যায়। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম এক অধ্যায় হিসেবে লেখা রয়েছে।
২৬ মার্চকে ঘিরে প্রতিবছরই নানা সরকারি-বেসরকারি আয়োজন থাকে। জাতীয় দিবস হিসেবে এই দিনটি সরকারি ছুটি। সবাই মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নের দিনটিকে মর্যাদার সঙ্গে স্মরণ করে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী এক স্বাধীনতা দিবস জাতির দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। এই দিনে ঘর থেকে বেরোতে মানা। একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনীর ভয়ে মানুষ যেভাবে লুকিয়ে ছিল। আজ করোনা ভাইরাসে ঘরের কোণে ঠাঁই নিয়েছে ঠিক একই ভাবে মানুষ। এটিও আমাদের জন্য বেদনার। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় অগত্যা মেনে নিতে হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম, আশাশুনি উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *