তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকান্তে তালায় রাস্তার পাশে টল দোকান অপসারণে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষিত ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রথখোলা বাজারে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন নাগািরক সমাজ ও দোকান মালিকদের পক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও তাদের তথ্য দাতাদের সমালোচনা করে বলেন, তালার রথখোলা একটি ঐতিহাসিক স্থান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও এজনপদের মানুষের ভূমিকা অনস্বিকার্য। এই রথখোলায় সরকারের অনুমোদন ও নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি জায়গায় হাট বাজার পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বাজারটি ইজারাভুক্ত প্রতিষ্ঠিত হাট-বাজার হিসেবে দাবি করে টল শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদ করা হয়। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন,কয়েক দিন পূর্বে নিজ পরিচয় না দিয়ে জালালপুর ও খেশরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউএলএও গগন চন্দ্র মন্ডল রথখোলা বাজারে এসে কয়েকজন দোকানদারনের নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে যান। এসময় তিনি সকলের অবগতির জন্য বলে যান, সরকারি হাটবাজার এর জায়গা বা শ্রেণি পরিবর্তন করতে জেলা প্রশাসক বরাবর জমি দানপত্র করতে হয়। কোন ব্যক্তি নামে সরকারি হাট বাজার হয় না।
সম্মেলনে তিনি প্রকৃত ঘটনার উদ্বৃতি দিতে গিয়ে বলেন, স্থানীয় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিষ্ঠিত ও ঐতিহ্যবাহী রথখোলা বাজারটা ধ্বংস করতে ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রীন সাতক্ষীরা সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সোহাগ চন্দন বাজার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। উক্ত সোহাগ চন্দনের বাবাকে মিথ্যা দানবীর সাজিয়ে এবং আর্থিক ফায়দা হাসিল করতে সংশ্লিষ্টরা হাট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নামে মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করেছেন।
প্রকাশিত সংবাদে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ খেশরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গগন চন্দ্র মন্ডল টল দোকানগুলো খাস হিসেবে চিহ্ণিত করে তা অপসারনের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করলেও আদৌ উক্ত দোকান ঘরের জায়গা খাস নয় এবং ইউএলএও গগন চন্দ্র মন্ডল কোথাও কাউকে দোকান অপসারনের নির্দেশ দেননি কিংবা কোন জনপ্রতিনিধিও সাংবাদিককে জানাননি বলে দাবি করা হয়।মূলত খাস খতিয়ানের ৩ শতাংশ জমির উপর ১০/১৫ টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতি নিয়ত সংকটে পড়তে হচ্ছে। তারা এসময় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদপূর্বক সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পূনর্বাসনের দাবি জানান। সংবাদে উল্লেখিত জেলা প্রশাসকের নির্দেশ দোকান অপসারণ কিংবা স্থানীয় বারবার নির্বাচিত ও পুরস্কারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান এম মহিদুল হক লিটুর নাম ব্যবহার করে যে মিথা, অবাস্তব ও কাল্পনিক কথা লেখা হয়েছে তা সম্পূন ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। সংবাদে সহিলুদ্দীন শেখসহ উল্লেখিতদের সম্পৃক্ত করে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। সহিলুদ্দীন শেখ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ৮০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক। চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী মহলটি তার নেতৃত্বে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে বাজারটাকে ধ্বংস করতে মিথ্যাচার ও স্বীয় স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ ও দোকান মালিকগন ইউপি চেয়ারম্যান, সহিলুদ্দীন শেখসহ উল্লেখিতদের জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয় সম্মেলনে। পাশাপাশি উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি মাদক কারবারীদের প্রশ্্রয়দাতা ও কারা দোকান মালিকদের নিকট থেকে অবৈধ অর্থ কালেকশন করেছে তা অনুসন্ধান ও প্রশাসনের প্রতি শাস্তি দাবি জানানো হয়। সময়ের দাবী ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জালালপুর ইউনিয়নবাসী অঙ্গীকারাবদ্ধ। সংবাদ সম্মেলনে রথখোলা বাজারের মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধার করে বাজারটির শ্রীবৃদ্ধিসহ সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার আরো জোর দাবি জানানো হয়। শেষে সাংবাদিকদের পক্ষে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,১৯৪৭ সালেরও আগে থেকে রথখোলায় ব্যবসা-বানিজ্য চলে আসছে। ১৯৯৭ সালে এখানে মাত্র ১৪ টি দোকান থাকলেও বর্তমানে দোকানের সংখ্যা কয়েক শ’। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply