আশাশুনি প্রতিবেদক : ৩৬ বছরের ভোগদখলীয় জমির মৎস্য ঘেরে অবৈধ প্রবেশ করে নেট ও বাঁধ দিয়ে দখলের প্রতিকার প্রার্থনা করে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার খাজরা গ্রামের আঃ মোতালেব সরদারের পুত্র গোলাম মাওলা লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, খাজরা মৌজায় এসএ ২২৯ খং, সাবেক ৪১২ ও হাল ১০৩৫ দাগে ১৬ শতক, ১০০৫ দাগে ৩ শতক মোট ৮২ শতক জমির এসএ মালিক মৃত রায়চরণ মন্ডলের পুত্র মহেন্দ্র মন্ডল এর ওয়ারেশ কেশব মন্ডল ও সুরেন্দ্র মন্ডলের নিকট থেকে ২৭/১১/৮৪ তাং ৭৬২২ নং কোবালা দলিলমূলে ক্রয় করেন। সেই থেকে জমিতে প্রথমে ধান চাষ এবং ১৯৯৭ সাল থেকে মাছ চাষ করে তারা শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। উক্ত জমি তাদের নামে নামপত্তন ও চেক দাখিলা (১৩৯৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত) আছে। উক্ত ২২৯ খং ৪.৬৮ একর জমির মধ্যে ৪.০০ একর ‘ক’ তফশীলভুক্ত ও ৬৮ শতক জমি ‘খ’ তফশীলভুক্ত। উক্ত ১/১ খং ৬৬ শতক জমি অবমুক্তির জন্য ২০১২ সালে ট্রাইব্যুনালে ৪২৬/১২ নং মামলা করি। যা স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে শুনানী চলমান আছে। প্রতিপক্ষ মিজানুরের স্ত্রী হালিমা, মৃত ছহিল উদ্দিনের পুত্র শহিদুল ও তার স্ত্রী সরবানু ১/১ খং ৪১৩, ২৯৫, ৪১২, ২৫৭, ২৯৬ ও ২৯৭ দাগে ২.৫৮ একর জমির মধ্যে ১.৬৩ একর জমি ১৪২৬ সালে ডিসিআর কাটে। তাদের ডিসিআরকৃত জমি পুরন থাকলেও তারা গোলাম মাওলাদের ৩৬ বছরের ভোগদখলীয় জমির মধ্যে তাদের জমি পাওনা আছে দাবি করে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে তাদের মৎস্য ঘেরে (২.০০ একর) অবৈধ প্রবেশ করে নেট জাল টাননো ও মাটির বাঁধ দিয়ে দখল করতে গেলে তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা বাধা দিতে গেলে তাকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে তিনি ইউএনও বারবার লিখিত অভিযোগ করেছেন।
Leave a Reply