বিশেষ প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার সাপমারা খাল। ইছামতি নদীর একটি ক্ষুদ্র শাখা। একসময় প্রবল জোয়ার ভাটা ছিল।খালটি বিস্তৃর্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ছিল। আশাশুনি,কালিগঞ্জ সংযুক্ত দেবহাটা পারুলিয়ার উপর দিয়ে বয়ে চলা খালটি দিয়ে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল। মাছের ঘের ও জমির ফসল উৎপাদনের জন্য খালটি ব্যপক ভূমিকা ছিল। কিন্তু খালটি দিন দিন নিমজ্জিত হতে থাকলে জমির ফসল ও মৎস্য চাষের উপর ব্যপক প্রভাব পড়তে থাকে। বর্তমান উন্নয়নশীল সরকার এলাকার নানাবিধ সমস্যার কথা চিন্তা করে ১৯ কিলোমিটার খাল খননের উদ্যোগ নেয়। এতে খরচ ধরা হয় ১৯ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে খল খননের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সাপমারা খাল খনন কে কেন্দ্র করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগিরা।
স্থানীয়রা জানায়, সঠিক নিয়মে খাল খনন হচ্ছে না। রিকডীয় জমি নোটিস ছাড়া খনন করা হচ্ছে। ব্রিজের নিকট এস্কেভেটর মেশিন চালানো নিয়ম না থাকলেও সেখানে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। পাড় থেকে এমন ভাবে ঢালু রাখা হচ্ছে যা পানি লাগলে ধ্বসে যাবে। নতুন মাটি দেওয়া পাড় থেকে গবীরতা নির্ণয় করা হচ্ছে যা খালের তলদেশ উঁচা হয়ে যাচ্ছে। খাল পাড়ে বসবাসরত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে খনন কাজ শুরু করা।
দেবহাটা উপজেলার ঘড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইব্রাহিম সাপমারা খালপাড়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। নয় সদস্যের পরিবার নিয়ে কষ্টের সংসার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। থাকার কোন জায়গা নেই। সাপমারা খাল খননের কারণে এস্কেভেটর দিয়ে তাদের বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। এ রকম প্রায় এক হাজার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের মধ্যে কারো কারো খোলা আকামের নিচে এই শীতে বসবাস করতে হচ্ছে। এলাকায় খাসজমি থাকলেও তাদের পুরর্বাসন না করায় তারা জেলা প্রশাসনের প্রতি অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছে। েেজলা প্রশাসকে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ঢেওটিন ও টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাইনি।
ওই সমস্ত এলাকায় প্রশাসন বা সাংবাদিক গেলে তাদের আকুতি জানানোর জন্য দলে দলে ভিড় জামায়। তাদের দাবি, টেন্ডারের নিয়মানুযায়ী খালটি খনন হয়। খাসজমিতে বসবাসরত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা পার্শ্ববর্তী খাসজমি জবরদখল করছে। অথচ প্রশাসন ওইসব জায়গায় আশ্রয়হীন মানুষের সাময়িকভাবে বসবাস করার সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। প্রচন্ড শীতে গরীব অসহায় মানুষের আশ্রয় ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply