নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে শুক্রবার সাতক্ষীরার কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রতিবাদের তিনি প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নহে দাবী করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার গয়ড়া সীমান্ত প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগে পাঠ করে বলেন-আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহাজান আলম ১৮ডিসেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা বানোয়ার্ট সংবাদ সম্মেলন করে, যাহা দৈনিক সাতনদী, ফেসবুক, অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি জানিতে পারিয়া খোজখবরের মাধ্যমে আরো দুইটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রচার করে। একটি পত্রিকা দৈনিক কালেরচিত্র, অপরটি দৈনিক পত্রদূত। যাহা সাতক্ষীরা গণমাধ্যম হইতে প্রকাশিত হয় এবং আমার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনে বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলম, তাহার নিজের ইচ্ছামত আমার মানহানিকর কথাবার্তাসহ সম্মানহানির ও আপত্তিকর লিখিত বক্তব্য পাঠ করিয়াছেন। যাহাতে উল্লেখ করেন আমি একজন আওয়ামীলীগে অনুপ্রেবশকারী, মসজিদের অর্থআত্মসাতকারী মসজিদের জায়গা জবরদখল, দূনীতিবাজ, চোরাচালানকারী, চোরাঘাট পরিচালনাকারী, এলজিএসপি টাকা আত্মস্বাত কারী ও অন্যান্য আপত্তিকর কথাবার্তা লিখিত বক্তব্যের মধ্যে পাঠকরিয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করিয়া মানহানি, সম্মানের প্রতি আঘাতহানে, হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের ও সংবাদ সম্মেলনের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান। জন্মগতসূত্রে আমি একজন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের সকলই আওয়ামীলীগ সন্তান। আমার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমার ছোটভাই বাংলাদেশী সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত আছে। বর্তমানে কুয়েতমিশনে আছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসারপর আমার পরিবার আওয়ামীলীগ হওয়ার কারণে ২০০১ সালে আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শহিদুল ইসলাম কে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে হিজলদী বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে লোহার রডদ্বারা মারপিট করাসহ, লোহার রডদিয়ে খুচিয়ে একটি চোখনষ্ট করে দিয়েছে। আমি ছাত্রজীবন থেকে অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত এবং ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়রসহ-সভাপতি এবং ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এবং ২০১১ সাল হইতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউপি সদস্য হিসাবে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম এবং অত্র ওয়ার্ডে ২১১০ ভোটের মধ্যে ১৭৮৭ ভোটপেয়েইউপিসদস্যনিবার্চিতহয়েছিলাম। মেম্বর হইতে বর্তমানে ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়াপরম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করে আসিতেছি এবং আমার প্রতিপক্ষ ৯জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহাজান আলম মশাল মার্কা নিয়ে ১৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হওয়ার পর হইতে আজও পযর্šÍ আমার বিরুদ্ধে দেড়শতাধিক দরখান্ত সরকারের বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ণ স্থানে দিয়েছেন। যার আজও পর্যন্ত কোন সত্য মেলেনি। দীর্ঘদিন পরে এই চন্দনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়। আমি তার প্রকাশিত সংবাদের তীব ্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সভায় উপস্থিত ছিলেন-ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান, আ: সালাম, ইমাম হোসেন, মো: হাসান মাসুদ পলাশ, আলহাজ্ব মো: আ: হামিদ, মোছা: মাজিদা খাতুন, মোছা: জাহানারা খাতুন, মোছা: গফুরোন নেছা প্রমুখ।
Leave a Reply