সাতক্ষীরার মেয়ে সুমাইয়ার সাফ এশিয়ান গেমস্ জয়


স্টাফ রিপোর্টার: সুমাইয়া ইমরোজ একটি গৌরবের নাম। বড় হওয়ার সাথে সাথে সে চিন্তা করতে থাকে কিভাবে নিজেকে আত্মরক্ষা করা যায়। ২০১১ সালে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশুনা চলাকালীন সময় তার মায়ের অনুপ্রেরণায় সুমাইয়া সাতক্ষীরায় তায়কোয়ান্ডো প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হয়। এরপর থেকে সে বেড়ে উঠতে থাকে সাথে সাথে তায়কোয়ান্ডো নিয়ে পড়ে থাকে। সুমাইয়া ইমরোজ নেপালের কাঠমুন্ডুতে সদ্য সমাপ্ত হওয়া সাফ এশিয়া গেমস্ েতায়কোয়ান্ডো খেলায় ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। সে শহরের রাজারবাগান এলাকার পৌরসভায় চাকুরীরত নূরুজ্জামান ও মাতা সালমা জামানের মেয়ে। সুমাইয়া ঢাকা বাংলা কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী। তার এ প্রচেষ্টা ও মাতার উৎসাহ পেয়ে আজ সাতক্ষীরার সন্তান হয়ে সে নেপালের কাঠমুন্ডুতে সাফ এশিয়ান গেমস্ েতায়কোয়ান্ডো খেলায় ৩য় স্থান হয়ে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছে এদেশের জন্যে। যা সারা বাংলাদেশের জন্য গৌরব। এ গৌরব শুধু সুমাইয়া ও তার পরিবারের নয়। এ গৌরব এ জেলা তথা সারা বাংলাদেশের। সুমাইয়ার এ সাফল্য ধরে রাখতে ও ভবিষ্যতে আরো ভাল করতে সংবর্ধনা দিয়েছেন সাতক্ষীরা পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ। এবিষয়ে সুমাইয়া ইমরোজ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ছোট বেলা থেকে সব সময় ভেবেছি নিজেকে আতœরক্ষা করা। সে কথা ভেবে ও আমার মায়ের উৎসাহে আমি তায়কোয়ান্ডো প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হই। ভাল খেলোয়াড় হওয়ার জন্য আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি তায়কোয়ান্ডো খেলায় এ পর্যন্ত ১৭ টি স্বর্ণ, ৮ টি রৌপ্য ও ৬ টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছি। তারমধ্যে জাতীয় পুরস্কার আছে ৮ টি। আমি সব সময় ভেবেছি একজন ভাল খেলোয়াড় হয়ে সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের সুনাম ধরে রাখতে। তবে আমি পেরেছি। ভবিষ্যতে আরো ভাল খেলা করে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে আমার চেষ্টা অব্যহত থাকবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *