এস এম নাসির উদ্দীণ: দেবহাটায় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জাহিদুজ্জামান কতৃক ধান সংগ্রহ লটারীতে অনিয়ম।ইউপি সদস্যদের সুপারিশে কৃষকদের পক্ষে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ।বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কৃষি মৌসুমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। এবার আসন্ন চলতি মৌসুমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৬ টাকা দরে ধান, ৩৬ টাকা দরে সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা দরে আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে চাল এবং ২০ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হয়ে চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। এরই ধারাবাহিকতায় দেবহাটায় ও শুরু হয়েছে এ অভিযান। কিন্তু সরকারের অভিযানকে কালো টাকার বিনিময়ে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে একটি চক্র।আর এমন একটি ঘটনা ঘটেছে দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নে সরকারী ভাবে ধান বিক্রয়ের লটারীতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।আর এ অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তার বিরুদ্ধে। প্রশাসনের হাত দিয়ে প্রকাশ্যে স্বচ্ছ ভাবে লটারি সম্পন্ন হলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামানের যোগসাজসে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে পর্দার আড়ালে ইউনিয়নে কয়েকজন চাতাল মালিকদের সহযোগীতায় করেছে ব্যাপক কারচুপি। প্রাপ্ততর্থে জানাযায়,কতিপয় ব্যক্তির কারনে কৃষকরা বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটলে সেটি প্রকাশ্য লটারীর মাধ্যমে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় সরকার। এই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে লটারি করার জন্য কৃষকদের তালিকা তৈরী করে স্থানীয় কৃষি অফিস। এরপর একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারন করে প্রকাশ্যে করা হয় লটারি। শর্ত অনুযায়ী এই তালিকায় আসতে হলে কৃষি ভর্তুকি কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট এবং চলতি মৌসুমের চাষি হতে হবে সুবিধাভোগীদেরকে। এ মোতাবেক উপজেলা খাদ্য কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করার পর ৫টি ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কর্মকর্তারা প্রকৃত চাষিদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে। পরে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সকলের উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন হয়। কিন্তু নিয়ম বহিরর্ভূত ভাবে নওয়াপাড়া ইউনিয়নে লাটারি করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কৃষকদের পক্ষে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত বরকত আলীর পুত্র এম আজগার আলী। আর এ অভিযোগে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩,৪,৫,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের সম্মলিত সুপারিশকৃত স¦াক্ষর আছে বলে জানাযায়। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, লটারির মাধ্যমে সুবিধাভোগী ২১০ জনের মধ্যে একটি ওয়ার্ডে ১০৮ জন চুড়ান্ত হয়েছে। তার বিপরীতে অন্য ওয়ার্ড গুলোতে কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে এক ওয়ার্ডে কিভাবে ১০৮জন কৃষকের নাম উঠে এসেছে? অনিয়ম ছাড়া এক ওয়ার্ড থেকে এতগুলো নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হওয়ার বিষয়টি সর্বস্থরে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অসাধু চাতাল মালিকদের জোগসাজশে এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামানের অপকৌশলে এ ধরনের লটারী সাজানো হয়েছে । ফোনে জাহিদুজ্জামানের সাথে কথা বললে, তিনি সব কিছু মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান এবং নিউজটি না করার জন্য অনুরোধ জানান।এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতর বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন সুবিধা বঞ্চিত কৃষকরা।
Leave a Reply