বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। দেশে যথেষ্ট পরিমানে খাদ্যশস্য উদপাদিত হচ্ছে। কিন্তু সেই খাদ্য যথাযথভাবে বন্টন না হওয়ার কারণে সকলে খাদ্য পাচ্ছে না। বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্যকে অন্যতম মৌলিক অধিকার বলা হয়েছে। কিন্তু অধিকারে পক্ষে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আইনগত নেই। সে কারন মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হলেও রাস্ট্রের কাছে খাদ্য না পাপ্তিতে সে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেটির জন্য আইনের আশ্রয় নিতে পারে না। সকল নাগরিককে পুষ্টিমানস্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। সেজন্য খাদ্য আইন প্রণয়ন জরুরি।
গতকাল রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে খানি-বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ও বেসরকারি সংগঠন প্রগতি আয়োজিত ‘খাদ্য অধিকার আইন চাই’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ।
উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রগতির প্রধান নির্বাহী ও দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ বানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কিন্তু দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আইন না থাকার কারনে মানুষ পুষ্টিমান সম্মত খাদ্য পাচ্ছেনা। এ জন্য বক্তারা উক্ত সেমিনার থেকে খাদ্য নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মানবাধিকার কর্মী ফারুক রহমান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কিন্তু দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আইন না থাকার কারনে সকল মানুষ পুষ্টিমানসম্মত খাদ্য পাচ্ছে না। বক্তারা সকলের জন্য পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণের জোর দাবি জানান।
Leave a Reply