জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কয়লার ব্যবহার কমানোর অঙ্গীকার করে আসছে বিশ্বের অন্যতম জোট জি২০। কিন্তু জোটটির দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্বালানি খাত সবচেয়ে বেশি কয়লানির্ভর। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ফিনটোয়েন্টিফোরডটকম।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণও জি২০ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ বলে ব্রাউন টু গ্রিন রিপোর্টে দেখা গেছে। বর্তমানে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ কয়লাচালিত কেন্দ্র থেকে আসে।
জি২০-এর জলবায়ু কার্যক্রমের বার্ষিক পর্যলোচনা ও জলবায়ু নীতিমালা, অর্থায়ন ও দুর্বলতাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিভিন্ন সূচক নিয়ে ব্রাউন টু গ্রিন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, জি২০ দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস থেকে প্রাপ্তির চেয়ে জলবায়ু পরিবর্তন অব্যাহত রাখায় বেশি ব্যয় করছে। প্রতিবেদনের লেখকরা জানান, কেবল দুটি জি২০ অর্থনীতি—কানাডা ও ফ্রান্স জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকিতে ব্যয়ের তুলনায় কার্বন প্রাইসিং স্কিমগুলো থেকে বেশি আয় করছে। এর মানে হলো, জি২০ দেশগুলো এখনো প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থিক প্রবাহ তৈরি করতে পারেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনের এনার্জি সিস্টেমস রিসার্চ গ্রুপের গবেষক ব্রাইস ম্যাককল বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় শিল্পের কার্বন নিঃসরণ ‘ভীতিকর’ স্তরে রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের শিল্প নিঃসরণের মাত্রা জি২০ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চে রয়েছে। প্যারিস চুক্তিতে আমরা যে অঙ্গীকার করেছি, সে তুলনায় এ চিত্র খুবই দুঃখজনক।
ফরাসি দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে আরো অংশগ্রহণ করেছিল পরিবেশবাদী সংস্থা ক্লাইমেট ট্রান্সপারেন্সি ও আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক আইএমএসিএলআইএম।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি দক্ষিণ আফ্রিকা। চুক্তিটিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply